প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা চুমু নিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 19 October 2019

প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা চুমু নিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য



প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক ;

১) এক একবারের চুম্বনে মুখের ২৯ টি পেশির সঞ্চালন হয়৷ ফলে নিয়মিত চুম্বনে মুখের চামড়া চট করে কুঁচকে যায় না৷
২) স্মুচ বা ঘনিষ্ঠ চুম্বনের সময় থুথু বা স্যালাইভায় থাকে ফ্যাট, মিনারেল সল্ট ও প্রোটিন৷ আর এক দেহ থেকে অন্য দেহে যখন এগুলো চুম্বনের মাধ্যমে যায়, তখন অপর দেহে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি৷ফলে শরীরে অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউনিটি ক্ষমতাও দৃঢ় হয়ে ওঠে৷


৩) ৬৬ শতাংশ লোক (নারী-পুরুষ নির্বিশেষে) চুম্বনের সময় নিজেদের চোখ বন্ধ রাখেন৷বাকিরা তারিয়ে তারিয়ে পার্টনারের চোখেমুখের আবেগকে লক্ষ করেন৷

৪) মার্কিনী পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, আমেরিকান মহিলাদের অধিকাংশই বিয়ের আগে প্রায় ৮০ জন পুরুষকে চুম্বন করে ফেলেন৷

৫) চট করে রোমান্টিক চুম্বনে শরীরের ২-৩ ক্যালোরি খরচ হয়, কিন্তু স্মুচ বা ফ্রেঞ্চ কিসে যেখানে জিভের সঙ্গে জিভের যোগাযোগ থাকে, সেখানে প্রতি চুম্বন পিছু ৫ ক্যালোরি এনার্জি বের হয় শরীর থেকে৷ নট ব্যাড!



৬) রোমান্সে বা রোমাঞ্চকর মুহূর্তে ঠোঁট হাতের আঙুলের থেকে ২০০ শতাংশ বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে৷

৭) অফিসে বেরোনোর আগে যেসব পুরুষরা স্ত্রীকে চুম্বন করে যান তাদের আয়ু অনেকটাই বেশি হয়৷ আর উল্টোটা যারা করেন, তাদের ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷

 ৮) স্মুচিংয়ের সময় প্রায় ৯০ সেকেন্ড ধরে ব্লাড প্রেশার আর পাল্স রেট বেড়ে যায় উত্তেজনায়৷এমনকী মিনিটখানেকের জন্য শরীরে কিছু কিছু হরমোনেরও আধিক্য ঘটে৷


 ৯) ফ্রান্সে ফ্রেঞ্চ কিসকে জাংচার অফ সোল বলে৷ কারণ এতে শুধু ঠোঁটই জড়িয়ে থাকে না৷ চলে আসে জিভও৷আর ফরাসীবাসীদের ধারণা এসবের সঙ্গে আত্মার যোগ রয়েছে৷

১০) দীর্ঘ চুম্বনের পর এস্কিমোরা একটা লম্বা শ্বাস নেন৷ তারপর দুজন দুজনের নাক চিপে প্রায় মিনিট দুয়েক ধরে থাকে৷

 ১১) পৃথিবীর দীর্ঘতম চুম্বনের রেকর্ডটি রয়েছে মার্কিনীদের দখলে৷রীচ ল্যাংলো এবং লুইসা আলমেডেভোর একসঙ্গে ৩০ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ধরে চুম্বন চালিয়েছিলেন একসঙ্গে৷কোনওরকম বিরতি ছাড়াই৷



১২) চুম্বনের ফলে দাঁতেও চট করে প্লাক জমতে পারে না, কারণ মুখগহ্বরে স্যালাইভার পরিমাণ বেড়ে যায়৷

 ১৩) বাৎস্যায়নের কামসূত্রতে প্রায় ৩০ রকমের চুম্বনের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম আধুনিক ফ্রেঞ্চ কিসও৷

১৪) দুই তৃতীয়াংশ লোকই চুম্বনের সময় তাদের মাথা ডানদিকে হেলিয়ে রাখেন৷


১৫) চুম্বনের সময় হার্টবিট বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কেও বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছে যায় !

১৬) সাধারণত দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মাথা ডানদিকে হেলিয়ে কিস করেন ৷ বিখ্যাত পেন্টিং,ভাস্কর্য কিংবা সিনেমাতেও আমরা প্রেমিক-প্রেমিকাদেরও এইভাবেই কিস করতে দেখি ৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, গর্ভে থাকার সময় থেকেই আমরা চুমু খাওয়ার এই পদ্ধতি শিখে আসি ৷ কারণ- মায়ের গর্ভে শিশুদের মাথা ডানদিকে হেলানো থাকে ৷


১৭ ) চুমু খাওয়ার সময় মোট ১৪৬ টা মাসল কাজ করে ৷ এর মধ্যে ৩৪টা মুখের মাংসপেশী বাকিটা ভঙ্গিগত ৷

১৮ ) আমাদের চুমু খাওয়ার ভঙ্গি অবিকল ৭৫ থেকে ১২৫ মিলিয়ন বছর আগেকার ইওমাইয়া স্ক্যানসোরিয়া ইঁদুরের মতো ৷ এই ইঁদুররা একে অপরের সঙ্গে নাক ঘষে নিজেদের যৌন অভিব্যক্তিকে প্রকাশ করত ৷



 ১৯ ) XOXO টাইপ করলেই স্ক্রিনে ফুটে ওঠে কিসিং স্মাইলি ৷ ইতিহাসবিদরা বলেন এর পিছনে আছে মানবসভ্যতার এক পুরোনো গল্প ৷ মধ্যযুগে নিরক্ষর মানুষেরা প্রেমের বার্তা পাটাতে হলে সিগনেচার হিসেবে X সাইনটি ব্যবহার করে তারপর ডকুমেন্টটিকে কিস করে সীল করতেন ৷

২০) ১৪৩৯ সালে ১৬ জুলাই ইংল্যান্ডের তৎকালীন রাজা পঞ্চম হেনরি রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে চুমু-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ৷ কথিত আছে,এই ঘোষণার পর তার রাজ্যে অরাজকতা তো দেখা গিয়েছিলই সঙ্গে রাজা নিজেও দীর্ঘকাল এরকম নিষেধাজ্ঞা পালন করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৷


২১ ) চুমু-র দেশ বলে স্বীকৃত ফ্রান্সে বিংশ শতাব্দীতে ট্রেনে কিস্ করা নিষিদ্ধ ছিল ৷ কারণ- কিস্ করতে গিয়ে ট্রেন থেকে উঠতে-নামতে যাত্রীরা দেরি করতেন ৷ এই কারণে সময়ের চেয়ে দেরিতে চলত ট্রেন ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জারি হয় নিষেধাজ্ঞা ৷


২২ ) আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের কারণে বন্ডের চুমুতে চলেছে কাঁচি ৷ টাইটানিক, স্পাইডারম্যান, কাসাব্লাঙ্কা, গন উইথ দ্য উইন্ডের মতো সিনেমায় কাল্ট হয়ে যাওয়া কিসিং সিন উপহার দেওয়া হলিউডেও চলেছিল চুমুর উপর সেন্সরের কালো কাঁচি ৷ ১৯৩০-এ সেন্সর বোর্ডের হেইজ কোড অনুসারে কাপলদের পর্দায় হরাইজন্টাল পজিশনে মানে একে অপরের উপর শুয়ে কিস করায় ছিল নিষেধাজ্ঞা ৷ এমনকী, বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীকেও খাটে পাশাপাশি শুয়ে দেখানোর ক্ষেত্রেও অনেক শর্ত ছিল ৷ খাটে চুমুর দৃশ্য দেখাতে হলেও শর্ত ছিল, কাপলদের মধ্যের যে কোনও একজনের পা মাটিতে থাকতে হবে ৷ ওই কোড অনুযায়ী সর্বাধিক দীর্ঘ চুমুর সিন হতে পারে ৩ সেকেণ্ডের, তার বেশি কোনও মতেই না ৷ এত নিয়ম মেনেই চলত পর্দায় প্যাশনের বিস্ফোরণ ৷


২৩ ) একজন সাধারণ মানুষ তার পুরো জীবনের গড়পড়তা ২০,১৬০ মিনিট অর্থাৎ দু’সপ্তাহ সময় চুমুর পিছনে ব্যয় করেন ৷

২৪ ) চুমু বিজ্ঞানকে বলে Philematology আর যারা Philematology নিয়ে পড়াশুনো করেন তাদের বলে Osculologists ৷ গোদা বাংলায় চুমু বিজ্ঞানী ৷

২৫ ) চুমু র পরিসংখ্যান বলে মহিলারা নিজের ড্রিম পার্টনার খুঁজে পেতে অন্তত গড়ে ১৫ জন পুরুষকে কিস করেন ৷ কারণ- চুমুতেই লুকিয়ে আছে নারীর হৃদয়ের অন্তিম চাবিকাঠি ৷


২৬) নেভাডায় মহিলাদের গোঁফওয়ালা পুরুষদের চুমু খাওয়া নিষিদ্ধ। তাই সেখানে অধিকাংশ পুরুষেরই গোঁফ-দাঁড়ি নেই।

২৭) সমকামী চুম্বন (গে বা লেসবিয়ান) দৃশ্য প্রথম ১৯২৭ সালে বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল। (ছবির দৃশ্যটি বম্বে টকিজ সিনেমার দৃশ্য। যেখানে রনদীপ হুডা সাকিব সলিম সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং চুম্বন দৃশ্যেও তাদের দেখা গিয়েছে।



 ২৮) বিশেষজ্ঞরা বলেন কাউকে অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানাতে, শুভেচ্ছা জানাতে করমর্দন করার চেয়ে ভাল চুমু খাওয়া। কারণ তা অনেক বেশী স্বাস্থ্যকর।



পি/ব

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad