প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক ; সম্প্রতি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়ারার তার নগ্ন ছবি ফাঁস করার হুমকি দিচ্ছে। এনকোয়ারার বলছে, বেজোস তার বান্ধবীকে যে নগ্ন ছবি পাঠিয়েছেন, সেটি তাদের হাতে আছে। ঘটনাটি সামনে আসলে পুরুষদের ‘মানসিক দিক’ খতিয়ে দেখতে সিএনএনের এই প্রতিবেদন। ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষা দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করছে, ওই সমীক্ষায় অংশ নেয়া ৮৮ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন তারা এমনটি করেন।
নারীর আগ্রহ নিয়ে ভুল ধারণা:
একজন নারী সত্যিকার অর্থে পুরুষের কী পছন্দ করেন, সে বিষয়ে অধিকাংশ পুরুষের কোনো ধারণা নেই। লস এঞ্জেলসের স্বাস্থ্যকর যৌন সেন্টারের নারী প্রতিষ্ঠাতা আলেক্সান্ডার কাথেয়াকিস বলছেন, ‘হ্যাঁ, এমনটি হয়। কিন্তু এগুলোকে কোনো নারী সাধুবাদ জানান না। অধিকাংশ নারী পুরুষাঙ্গের ছবি দেখতে পছন্দ করেন না। তার চেয়ে বরং চোখে আকৃষ্ট হয়।’ মিশিগানের যৌন বিশেষজ্ঞ জো কর্টও একই কথা বলেন, ‘অধিকাংশ পুরুষ মনে করে নারীরা এসব ছবি দেখতে পছন্দ করে।
ক্ষণিকের ভুল:
সব পুরুষ যে ভেবেচিন্তে নিজের নগ্ন ছবি সেন্ড করেন, বিষয়টি এমন নয়। অনেকে ক্ষণিকের উত্তেজনায় এমন আচরণ করে থাকেন। নিউইয়র্কের থেরাপিস্ট স্টেরন বলছেন, ‘ড্রাগ কিংবা মদ খাওয়ার পর অনেকে এমন আচরণ করেন। পরে অনুশোচনাও হয় তাদের।’
কুৎসিত আনন্দ লাভ:
পুরুষরা এসব পাঠিয়ে ক্ষণিকের জন্য আনন্দ লাভ করার চেষ্টা করে। কাথেয়াকিস বলছেন, ‘এটি এক ধরনের বিকৃত মনোভাব। অপ্রিয় হলেও সত্য অধিকাংশ পুরুষ এমন মনোভাব নিয়ে চলাফেরা করেন।’
পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্ব জাহির:
ডেট্রয়েট সেক্স থেরাপিস্ট রুসেল স্টামবাউঘ মনে করেন, এসব পাঠিয়ে পুরুষরা এক ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করার চেষ্টা করেন। ‘এটি এক ধরনের অপ্রত্যাশিত কর্তৃত্ব চাওয়ার মতো ব্যাপার। পুরুষরা কতটা আক্রমণাত্মক সেটি এতে প্রকাশ পায়।’
পি/ব
No comments:
Post a Comment