প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; আমরা অনেক স্বামী স্ত্রীর ঝগরা দেখেছি। অনেক সময় অনেক কারনেই এই ঝগরা হয়ে থেকে। কখনও নাক ডাকা নিয়ে আবার কখনো শাশুড়ি বউমার ঝগড়া। বহু কারণে সংসারে অশান্তি হয়, আবার অনেক সময় এই অশান্তি সহ্য করতে না পেরে স্বামী স্ত্রী ডিভোর্স নিয়ে বশে। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন পাদের আওয়াজের জন্য স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়েছে ?
এই হাস্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর হরিদেবপুর নামে এক জায়গায়। সেখানকার এক বাসিন্দা জানান যে তাদের পাড়াতেই এক বাড়িতে বিয়ে হয়ে আশে নব বধূ। বিয়ের বেশ কিছুদিন পর্যন্ত চলছিল ঐ নব দম্পতির সুখি জীবন। কিন্তু আসল ঘটনা ঘটে তার কিছুদিন পর থেকে। কিছুদিন কাটার পরেই শুরু হয় তাদের রোজকার অশান্তি। পারার লোক ভেবেছিলো সেটি নিতান্তই স্বামী স্ত্রীর একান্ত ব্যাক্তিগত ঝামেলা।
তাই কেউ অতটা গুরুত্ব দেয়নি, আর কেউ কিছু জিজ্ঞাসাও করেনি। সেই নতুন বউ লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারেনি। সেই নব বিবাহিতা মেয়েটির স্বামীর নাম ছিল সজল। অনেক সহ্যের সীমা অতিক্রম করে একদিন ঝগড়া হওয়ার পর সজলের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তখন পাড়ার লোকেরা মেয়েটিকে বহু কথা জিজ্ঞাসা করে, উত্তরে সে জানায় তার স্বামী আর শ্বশুরের অত্যাচারে সে বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছে।
পাড়ার লোকেরা আগ্রহের সঙ্গে আরো প্রশ্ন করতে থাকে, মেয়েটি অবশেষে মুখ খোলে। সে বলে তার স্বামী আর শ্বশুর সারাদিন পাদে। এই সব ব্যাপারে সে অভ্যস্ত নয়। তার বাড়িতে সে এরকম অসভ্যতামি কখনো দেখেনি। তার পক্ষে ঐ বাড়িতে থাকা আর সম্ভব নয়। তার অভিযোগ তার স্বামী একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেও তার শ্বশুর একদমই তা নন। সে যখন তখন পাদে। বাড়িতে বাইরে সব জায়গায় সে পাদে।
এমন কি তার শ্বশুর নতুন বউয়ের বাপের বাড়ির লোকের সামনেও পেদেছে। তাই বাপের বাড়ির সবার সামনে তার সন্মান নষ্ট হয়েছে। তার আরও অভিযোগ যে তার স্বামী বিশেষ করে খাওয়ার সময় পাদার ফলে ঠিক করে খাবার খাওয়া যায় না। এছাড়াও তাদের ব্যাক্তিগত সময়েও সে এইরকম কাজ করে। ফলে তাদের ব্যাক্তিগত জীবনও খারাপ হচ্ছে।
এইসব ঘটনা সবার কাছে বহু দিন ধোঁয়াশা হয়েই ছিল। এই ঘটনার পর সবার কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। সব ঘটনা শুনে পাড়ার লোক তাকে স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকার পরামর্শ দেয়, কিন্তু মেয়েটি তাতে রাজি না। কারন যাকে নিয়ে সে আলাদা থাকবে সেও তো পাদে। তাই মেয়েটি কোনও ভাবেই তার স্বামীর সাথে থেকবেনা। তাই অবশেষে ডিভোর্সের পথই বেছে নেয় সে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment