টানা বৃষ্টির জেরে নদী প্লাবনে বীরভূমের অনেক গ্রাম জল মগ্নঃ দু এক জায়গায় ত্রাণ পৌঁছাতে দেরী - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 30 September 2019

টানা বৃষ্টির জেরে নদী প্লাবনে বীরভূমের অনেক গ্রাম জল মগ্নঃ দু এক জায়গায় ত্রাণ পৌঁছাতে দেরী




দেবশ্রী মজুমদারঃ     টানা বৃষ্টির জলে বিভিন্ন নদীতে প্লাবনে অনেক গ্রাম জল মগ্ন। আবার বেশ কিছু গ্রামে জল আঁটকানো গেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, নলহাটি-১ ব্লকের বড়লা অঞ্চলের রানীনগর, নলহাটি -২ ব্লকের  ক্যানেল ভেঙে যায়। সেই দিক দিয়ে ব্রহ্মাণী নদীর জল ঢুকে যায়। এরফলে  কুন্দপুর ও বলরামপুর গ্রামে জল ঢুকে যায়।  নলহাটি-২ ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধূরী বলেন, সন্ধ্যে সাড়ে ছটা পর্যন্ত আমরা গ্রামে ছিলাম। গ্রাম বাসীদের স্থানীয় উঁচু জায়গায় সিফটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


 উনাদের ক্যাম্পের আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা কেউ আসতে চান নি।  বৃষ্টি হলে, বোট নিয়ে যাব। কাছেই ফ্লাড সেন্টার আছে। কোন অসুবিধা হবে না। শীতল গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে সেরকম কোন অসুবিধা নেই। আমরা রিলিফ নিয়ে গেছি। কোন অসুবিধা নেই।



 মুরারই -১ নিশীথ ভাস্কর পাল বলেন, দুটো জায়গায় বাঁধ সাড়ানো হচ্ছে।  বাঁশলৈ নদীর প্লাবনে  নতুন আবদুল্লাপুরে বাঁধ ভেঙে যায়। আবদুল্লাপুর, রতনপুর, সমরপুরে খারাপ অবস্থা আঁটকানো গেছে।  মুরারই-২ ব্লকের বিষোরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। 


নলহাটি-১ ব্লকের বড়লা  অঞ্চলের রানীনগরের বাসিন্দা সপ্তঞ্জিত মহলদার জানান,  গ্রামের মধ্যে জল বইছে। কোথাও হাঁটু জল আবার কোথাও কোমর অব্দি। সবাই গবাদি পশু নিয়ে পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে  ব্রহ্মাণী নদীর পাড়ে আশ্রয় নিয়েছি।  বিডিও সাহেব ত্রিপল দেবেন বলেছিলেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাই নি।  জানা গেছে, এই গ্রামে ৫৫ পরিবারের বাস। তার মধ্যে ২৫ টি ছিটেবেড়ার বাড়ি ভেঙে গেছে।


 যাদের পাকা বাড়ি, তারা ছাদে আছে। গোটা গ্রামের লোক নদীর পাড়ে আছি। জল বেড়েই চলেছে।  কিছু কিছু করে বাড়ির মাল পত্র আনার চেষ্টা চলছে। নদীর জল বিপদ সীমার উপর বইছে। রাত্রে বৃষ্টি হলে আরও জল বাড়বে নদী গুলিতে।


 নলহাটি-১ ব্লকের বিডিও জগদীশ চন্দ্র বাউড়ি বলেন, রানী নগর , মকরমপুর, কানুপুর, রদিপুর, তৈপাড়া, সরস্বতীপুর এই গ্রামে জল ঢুকে গেছে। কিছু মানুষ নদী পাড়ে আছেন। তাদের ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। কিছু মানুষ স্কুল ঘরে আছেন। কিছু ক্যাম্পে আছেন। আমাদের এডি এম সাহেব এসেছিলেন।  আমরা সেখানে সমস্ত রকম ত্রাণের সরবরাহ করেছি। রামপুরহাটের চাকলা মাঠের রাস্তাঘাট ডুবে গিয়েছে।


 কলেজ মাঠ ডুবে গেছে। রামপুরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার  সুকান্ত সরকার জানান, কাঁদর সংস্কার করা ভালো হয়েছে। তাই জল দ্রুত পাশ হচ্ছে। সব ঘুরে দেখেছি। ১৬ নং ওয়ার্ডে সবার পাকা বাড়ি। তবুও যাদের অসুবিধা, তাদের  ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলে থাকতে বলা হয়েছে।  তিনি জানান, আসলে ঝাড়খণ্ড এলাকায় প্রচূর বৃষ্টির হওয়ায় এবং জল ছাড়ায় এই অবস্থা হয়েছে। দু একজায়গায় ত্রাণ পোঁছাতে দেরী নিয়ে রামপুরহাট মহকুমা শাসক স্বেতা আগ্রওয়ালকে প্রশ্ন করার জন্য ফোন করলে, তিনি ফোন ধরেন নি।




পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad