নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ক্লিভেজ বা বিভাজিকার সৌন্দর্য চেতনা পাশ্চাত্য প্রকৃতির। পুরুষ মৌলোভীকে কতটা বিমোহিত করতে পারে তা বোধ হয় বাৎস্যায়নের অজ্ঞাত। সত্যি কথা বলতে, পূর্ণ প্রকাশিত যুবতী-স্তনের আবেদনের থেকে অনেক বেশি টান বিভাজিকা বা ক্লিভেজের। ক্লিভেজ আসলে রহস্যের মোড়কে প্রতিশ্রুতি। এদেখে পুরুষ নির্মোহ থাকে কেমনে?
সম্পূর্ণ উন্মোচিত স্তনের মধ্যে কোনও লুকনো নিশানা নেই। নেই কোনও ইঙ্গিতবাহী অভিজ্ঞান সঙ্কেত। নেই কাছে আসার ডাকও নেই। গলাকাটা ব্লাউজ বা পোশাক দৃশ্যমান করে দু’টি স্তনের মধ্যবর্তী মেদস্বর্গ, যেটিকে খাঁজ বললে মান অবনমন হয়। দু’টি স্তন যেন গভীর বুক। যেখানে আশ্রয় আছে। নেই মাদকতা। নেই এতটা সেক্স অ্যাপিল। বিভাজিকাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভূমি খণ্ড।
কালিদাসে নেই বিভাজিকার সৌন্দর্য চেতনা। কালিদাসের তরুণীরা সর্বদা শ্রোণি ও স্তনভারে নত। অজন্তা-ইলোরা থেকে প্রাচীন ভারতের মন্দির-নারীরা, সবাই অকপটে উন্মোচিত করেছে পূর্ণ স্তনের মায়ামোহ। কারণ, প্রাচীন ভারত জানত না বিভাজিকা-সংস্কৃতি। ক্লিভেজ-কালচার পশ্চিম পৃথিবীর। ইউরোপের মেয়েরা বুকখোলা জামা পরতে লজ্জা পেয়েছে বলে মনে হয় না।
তবে ‘করসেট’ বা আঁটসাঁট অন্তর্বাস টেনে নামিয়ে দিত স্তনসন্ধির প্রকাশ। বুক দু’টির মধ্যবর্তী ফাটলটি বোঝা যেত না। বৈষ্ণবপদাবলী ব্যতিক্রমী নয় বক্ষ সৌন্দর্যে। বৃন্তবর্ণনে তুলনাহীন জয়দেব। কিন্তু ক্লিভেজের কবি নন তিনি। দুই স্তনের মধ্যবর্তী স্থানে কপট বিচরণভূমি। তার রহস্য ভেদে নাকানিচোবানি খেতে হয় পুরুষ পুঙ্গবকে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment