দেবশ্রী মজুমদারঃ আড়াইশো বছরেরও বেশি প্রাচীন পুজো। একটা সময় শরিকি পুজো ছিল ঠিকই, কিন্তু তার ইতিহাস নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। বর্তমানে এই পুজো বারোয়ারি। সেই অর্থে আবার বারোয়ারিও নয়। সাবেকি রীতিতে মায়ের পূজা হয় এখানে। একচালা ডাকের সাজে মা সজ্জিতা। মন্দির কমিটির সচিব প্রশান্ত মজুমদার ও পুরোহিত গোপাল চক্রবর্তী। গোপালবাবু ২৪ বছর ধরে এই মন্দিরে পুজো করে আসছেন।
তিনি বলেন, দুর্গা পূজা অনেক প্রাচীন। তাই তার ইতিহাস পাওয়া কঠিন। পুরোহিত মশাই প্রতিবেদককে শিব মন্দিরের ভিতরে পূণ্যশীলা হিরণ্ময়ী দেবীর নামে এক ফলক দেখান।
তার পর বলেন, ইনার নামের সাথেই এই মন্দিরের ইতিহাস লুকিয়ে আছে। শোনা যায়, মন্ত্রী আশীষ বন্দোপাধ্যায়ের কোন আত্মীয়া ছিলেন তিনি। তবে আশীষবাবু বলেন, এটা তাঁর জানা নেই। সে যাই হোক শিবতলা পাড়ার পুজো হিসেবে এই পুজোর খ্যাতি।
তবে এই নামের একটি ইতিহাস আছে। বহু দিন আগে। তখন অবশ্য দুর্গা পূজা এখানে হত। এই শিবমন্দির জায়গায় একটি পুকুর ছিল। বর্ষায় হাঁটা পথ ও পুকুরের জল এক হয়ে যেত। ঐ পথ দিয়ে এক গোয়ালিনী যেতেন। ঐ গর্তে পড়ে যাওয়ার পরও ডুবে যান নি তিনি। তাঁকে জিজ্ঞেস করে সবাই জানতে পারেন, কোন একটা পাথর গোছের কিছু তাঁকে তুলে ধরে। তাই তিনি ডুবে যান নি। এই ঘটনা জানাজানির পর, ঐ পুকুরের জল মারা হয়।
আর সেখানেই শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়। তার পর থেকেই মহাদেব ওখানে অধিষ্ঠিত। তাঁর এই মাহাত্ম্যের পর থেকে এই দুর্গা পূজা শিবতলা পাড়ার পুজো নামে খ্যাত। এই পুজোতে কোন বলি হয় না। ষোড়শোপচারে শুদ্ধতার সাথে সাবেকি রীতিতে পূজা। মায়ের মূর্তির আদলে কোন পরিবর্তন আনা হয় না। একদম পুরোপুরি গ্রাম্য পুজোর ঘ্রাণ এখানে পাবেন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment