প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; ৭ সেপ্টেম্বর অথবা শুক্রবার গভীর রাত কী এমন হল, যার জন্য বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হল না? তারপর থেকে যোগাযোগ করার সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কীভাবে নামল বিক্রম, সেই বিষয় যে ডেটা বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে, তা থেকেই এ ব্যাপারে একটি বিস্তারিত বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে।
অরবিটার থেকে চাঁদের দিকে বিক্রমের যেতে সময় লাগার কথা ছিল ১৫ মিনিট। যে সময়টাকে ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিবান ’15 minutes of terror’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। আর সেই ১৫ মিনিটেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রিপোর্ট বলছে, ১১ মিনিট পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। এর ঠিক পরই বিক্রম ল্যান্ডারটি সামান্য ঘুরে যায়। তাতে চাঁদের পৃষ্ঠের কিছুটা ছবি উঠে আসে।
আসলে নামার জায়গাটি কেমন, কোথায় ঠিকভাবে ল্যান্ডিং করা সম্ভব, সেটা বুঝতেই খানিকটা ঘুরে যায় বিক্রম। এরপর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আচমকা একটা ডিগবাজি খায় বিক্রম। আর তাতেই সব গণ্ডগোল হয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। ডিগবাজি খাওয়ায় ল্যান্ডারটি পুরোটাই উল্টে যায়।
ল্যান্ডারের সঙ্গে ছিল একটি ইঞ্জিন, যা তাকে সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করত। কিন্তু সেটি উপরের দিকে উঠে যায়। এরফলে ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটে। যে ইঞ্জিন আস্তে আস্তে চাঁদের মাটিতে নামিয়ে দিত বিক্রমকে, সেটাই উল্টে গিয়ে বিক্রমকে জোরে ধাক্কা মারে, যাতে সেটি চাঁদের মাটিতে পড়ে যায়।
ঠিক ১১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের মাথায় দেখা যায়, বিক্রমের গতি ৪২.৯ মিটার/সেকেন্ড থেকে আচমকা বেড়ে ৫৮.৯ মিটার/ সেকেন্ড হয়ে যায়। এরপরই স্তব্ধ হয়ে যায় বিক্রম। তারপর থেকে বিক্রমের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যদিও এখনও নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরো।
পি/ব
No comments:
Post a Comment