সুদেষ্ণা গোস্বামীঃ এই সময়ে ছেলে, মেয়েরা নিজেদের বড় ভাবতে শুরু করে অর্থাৎ যেটা করবো সেটাই ঠিক এমনই একটা অ্যাটিচিউড থাকে। ওরা বুঝতে পারেনা এ সময় সাথে ওরা যেটা করছে সেটা সম্পূর্ণ ভুল এর খাতায় যাচ্ছে। ওরা কারোর সাথে সমালোচনা, আলোচনা করার ধার ধারে না। ওয়ার্কিং অভিভাবকদের সাথে সন্তানের দূরত্ব এই সময় যেন অনেক বেশী বেড়ে যায়।
ফলস্বরূপ সন্তানেরা অজান্তেই এমন কাজ করে ফেলে যা সমাজের ক্ষেত্রে দণ্ডনীয়। আসুন এই সমস্যার সমাধান খুঁজি। সন্তানেরা এই সময় অনেকে বদলে যায়। তাই তাকে সব সময় এইসব বলবেন না যে তুমি তো আগে এরকম ছিলে না! বাচ্চাকে এসব না বলে হঠাৎ করে বদলে যাওয়ার কারণ খুঁজে বার করুন। যে বাচ্চাটি ছোটবেলায় ঘুরতে যেতে খুব ভালোবাসত হঠাৎ করে তার আর ইচ্ছা করে না।
এসব ক্ষেত্রে তাকে জোর করবেন না ধীরে ধীরে জানার চেষ্টা করুন না যাওয়ার কারণ। যদি দেখেন যে তার কথায় যুক্তি আছে তাহলে জোর করবেন না। নিজেকে তৈরি করার জন্য এই সময়টা খুব ভাইটাল। সন্তানকে রোজ পড়তে বসার জন্য বা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য জোর দেবেন না বরং তাকে সংসারের ছোটখাটো দায়িত্ব দিতে পারেন সে জীবনের গুরুত্ব বুঝবে। এই সময় সন্তানদের শারীরিক সম্পর্কের প্রতি বিশেষ আগ্রহ জন্মায়।সেক্স নিয়ে ছোট থেকেই ধীরে ধীরে বন্ধুর মতো মিশে তাকে সমস্ত কিছু জানিয়ে দিন যাতে সে বাইরে থেকে কিছু না জানে।
তার সাথে জানান অপরিণত বয়সে যৌন সম্পর্ক কতটা ক্ষতিকারক। আপনার সন্তান যাতে কারো ক্ষতি না করে এবং অন্য কারো যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখবেন এবং তাকে সবসময় সুন্দর করে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। এই সময়ে পার্সোনালিটি সুন্দর ভাবে বাচ্চাদের তৈরি করা যায়। সন্তানকে ঘর বাইরের ছোটখাটো কাজে দায়িত্ব দিন। তার সাথে সংসার এর জটিলতা নিয়ে আলোচনা করুন । বাড়িতে পুজো এবং অন্যান্য উৎসবে বেশিরভাগ দায়িত্বটা দিয়ে দিন তার কাঁধে। এভাবেই আপনি সন্তানকে গড়ে তুলতে পারবেন। সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন তার চোখে এঁকে দিতে পারবে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment