সুদেষ্ণা গোস্বামীঃ ভারতের লঙ্কার ইতিহাসে দৃষ্টিপাত করলে কত ধরনের লঙ্কা পাওয়া যাবে আপনি ভাবতেও পারবেন না। কাশ্মীরি লঙ্কা ,ভূত লংকা, কোনটারই চিলি যাওয়া চিলি এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয়।বাংলাদেশ অবশ্য লঙ্কাকে মরিচ বলা হয়ে থাকে যেমন বেলুন মরিচ, ধানি মরিচ, কামরাঙ্গামরিচ, লালমরিচ, শিমলা মরিচ ,কুল মরিচ ইত্যাদি।
যখন আমি সিকিমে ছিলাম সেখানে দেখেছি গ্যাংটকের বাজারে গোল লাল টুকটুকে একপ্রকার লঙ্কা পাওয়া যায় যা স্বাদে অত্যন্ত ঝাল এবং অল্প দিলেই কাজ হয়ে যায়। নাম তার ডলো খুর্সানি। পরিপাক জাতীয় সমস্যায় রসুন ও এই লঙ্কার চাটনি সিকিমের উপাদেয় খাদ্য।
মোমোর সাথে চ্যাট চাটনি পরিবেশন করা হয় তাতেই লঙ্কা ব্যবহৃত হয়। বোলপুরের বুনো লঙ্কা, মেদিনীপুর দাতনের রুপসা লঙ্কা, কলকাতা শিয়ালদাহ মার্কেটে কাল লঙ্কা ,ডায়মন্ড হারবারের ভলভো লংকা। লংকার বিভিন্ন প্রজাতির নাম। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৮৮ প্রকার লঙ্কার কথা গবেষণায় উঠে এসেছে । লংকা যেমনই হোক তবে স্বাদে-গন্ধে এর উপর নির্ভর করে তবেই এর নামকরণ।
পি/ব
No comments:
Post a Comment