নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শৈশব মুক্তির জন্য লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া কর্তন, কুমারী মেয়ের সাথে দৈহিক মিলনে শৈশব দশা মুক্তি। শুধু তাই নয়, মৃত বিধবার সম্পত্তি পেতে হলে মৃতদেহের সাথে যৌনক্রিয়ার প্রথা দেখা যায় বিস্ময়ের দেশ আফ্রিকায়! আফ্রিকার কেনিয়ার অনেক জায়গায় এক অদ্ভুত প্রথা আছে। বয়োসন্ধি সময় এলেই আফ্রিকান বালকদের লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া কেটে দেওয়া হয়। এই প্রথা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে কেনিয়ার কিকিইউ উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে।
এই প্রথা মুসলিম সম্প্রদায়ের খতনা বা মুসলমানীর সাথে মিল থাকলেও, পুরোপুরি এক নয়। কারণ ওই উপজাতিদের মধ্যে শৈশব কালে এই প্রথা দেখা যায় না। দেখা যায় বয়ঃসন্ধিকালে। অর্থাৎ যখন একজন বালকের শৈশব কালের মুক্তি ঘটছে। তবে এখানেই শেষ নয়। কুমারী মেয়ের সাথে তাকে গোটা রাত একসাথে থাকতে হবে। এই প্রথাকে কিকিইউরা বলে কেহুরা বাইরো।
তাদের কাছে বাইরো হলো ময়লা। আর কেহুরার অর্থ মোচন। এক কথায় এই প্রথা হলো ময়লা মোচন। আফ্রিকার কেনিয়ার সামবুরু উপজাতি যোদ্ধারা অবিবাহিত মহিলাদের সাথে রমণ করে। সামবুরুরা এই প্রথাকে বলে ইজান টোয়ি স্যন। তাদের বিশ্বাস এই প্রথার মাধ্যমে একজন বালকের শৈশব দশা কাটে। এই প্রথাকে ঘিরে আয়োজন করা হয় উৎসবের। বড়োরাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজক।
বালকেরা কেবলমাত্র অবিবাহিত মেয়েদের পছন্দ করে। এছাড়াও আরেক প্রথা আছে তাদের মধ্যে। কেনিয়ার লুও উপজাতিদের মধ্যে প্রথা আছে যে স্বামীর মৃত্যুর তিন মাসের মধ্যে বিধবা মহিলাকে পরিবারের কোনো সদস্যের সাথে দৈহিক মিলন করতে হবে। এই প্রথার নাম "টেরোচোলিয়া"। কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে তার উপর অধিকার জন্মায় মৃতর ছোট ভাইয়ের।
ছোট ভাই না থাকলে, সেক্ষেত্রে স্বামীর পরিবারের যে কোন নিকট আত্মীয়ের অধিকার জন্মায় তার উপর। কিন্তু যদি কোন মহিলা সেটা না চায়, তাহলে তাকে কেউ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক মিলনে বাধ্য করে না। কিন্তু ওই বিধবা মারা যাওয়ার পর, নিয়ম মাফিক তার মৃতদেহের সাথে সঙ্গম করতে হয়, মৃত স্বামীর ছোট ভাই, স্বামীর পরিবারের নিকট আত্মীয়।
তবে সেটাও না থাকলে, যে কোন পুরুষকে ভাড়া করে আনা হয় ওই বিধবা মহিলার জন্য। মৃতদেহের সাথে যৌনক্রিয়া বা নেক্রোফিলিয়া দেখা যায় উগান্ডার টেজো, বাতোর ও বিওসোগা উপজাতিদের মধ্যে। এই যৌন সম্পর্কের সাথে সাথেই মৃতার স্বামীর সম্পত্তির অধিকারী হয় সে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment