চলন্ত ট্রেনে চাপতে গিয়ে পা হড়কে নিচে পড়ে চিকিৎসকের মৃত্যু

দেবশ্রী মজুমদার:      প্রাইভেট চেম্বারে প্র্যাকটিস সেরে কর্মক্ষেত্র বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফেরার পথে চলন্ত ট্রেনে চড়তে গিয়ে মৃত্যু হল এক চিকিৎসকের। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বর্ধমান সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে বীরভূমের স্বাদীনপুর ষ্টেশনে।   



মৃত চিকিৎসকের নাম প্রদীপ দত্ত (৪০)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার  রঘুনাথগঞ্জের বানিপুর গ্রামে। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।প্রতি রবিবার বীরভূমের মুরারই থানার পাইকরে চেম্বার করতেন তিনি। সেই মতো রবিবার সকালে পাইকরে আসেন। রাতে মুরারই ষ্টেশনে সাহেবগঞ্জ – বর্ধমান লোকাল ধরে রামপুরহাটে আসছিলেন।       



রামপুরহাট থেকে ডাউন গৌর এক্সপ্রেস ধরে বর্ধমান ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লোকাল ট্রেন স্বাদীনপুর ষ্টেশনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ে। সে সময় ধীর গতিতে ওই ষ্টেশন অতিক্রম করছিল গৌর এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেনে চাপতে গিয়ে পা হড়কে প্লাটফর্ম থেকে নিচে পড়ে যান তিনি। ওই অবস্থায় ট্রেন কিছুদূর টানতে টানতে নিয়ে যায় তাকে। তাতেই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। ট্রেন চলে যেতেই কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা, লোকাল ট্রেনের যাত্রী ওসিকুর রহমান সহ কয়েকজন তাকে রামপুরহাট ষ্টেশনে নিয়ে আসেন।       



ষ্টেশনের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওসিকুর রহমান বলেন, “লোকাল ট্রেন দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। ফলে যাত্রীরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। অনেক যাত্রী ট্রেনের ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু জি আর পি উঠতে দেননি। চিকিৎসক পিছন দিকে উঠতে গেলে পা হড়কে নিচে পড়ে যান”।


পি/ব