রানীদের সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলতে গেলে সবার আগে মনে পড়ে যায় চিতোরগড়ের রানী পদ্মাবতির কথা। রানী পদ্মাবতি এতই সুন্দরী ছিলেন যে, শুধুমাত্র তাকে পাওয়ার জন্যএকজন মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি চিতোড়গড়কে আক্রমণ করেছিলেন।আসলে রাজাদের রানীর সুশৃঙ্খল শারীরিক গঠন এবং সুন্দরী রূপ আকর্ষণ করতো।
এই যত্ন নেওয়ার জন্য রানীরা বৈদিক শাস্ত্র প্রদত্ত ঔষধ গ্রহণ করতেন।শরীর সুগঠিত রাখার উপায় – রাজ বৈদ্যরা রানীদের এই ওষুধ গুলো ব্যবহার করতে বলতেন যাতে তাদের যৌবন বজায় থাকে। এই ওষুধ গুলো হল গোলাপ জল দিয়ে স্নান – রানীরা স্নানের জলে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতেন, যা তাদের চামড়ার উপর প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করত। আর এর ফলে তাদের শরীর ভেলভেটর মতন নরম হত। আর এর ফলেই রাজারা রানীদের প্রতি পাগোল হতেন।
মদ দিয়ে বানানো হত ফেস প্যাক । মদের মধ্যে দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস মেশানো প্যাক ব্যবহার করতেন। যার ফলে মৃত চামড়া এবং কঠোরতা অপসারণের জন্য যা চামরা নরম করতেন। আভাকাডো মাস্ক – শরীরের দাগ সরাবার জন্য এবং মুখ থেকে কলুষতা সরানোর জন্য আভাকাডো ফেসপ্যাক ব্যবহার করতেন। এ ছাড়াও, আভাকাডো বাঁকানো শরীর পেতে সাহায্য করতেন। আখরোট বয়সের ছাপ দূর করে। তারা দৈনিক আখরোট এবং গাজর ব্যবহার করতেন। তাদের শারীরিক অঙ্গগুলি ভালো রাখার জন্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট অনুযায়ী তাই তখন কেউ তাদের বয়স নির্ধারণ করতে পারতেন না। প্রাচীনকালে রানীরা তাদের চুলের যত্ন নিতে মধু এবং জলপাই তেল ব্যবহার করতেন। গোলাপের সুবাস – রানীরা তাদের ত্বকের শুষ্কতা অপসারণের জন্য গোলাপের সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। সাস্নের জন্য গাধার দুধ – সেই সময়ে রানীরা মধু এবং জলপাই তেল গাধার দুধের সাথে মিশ্রিত করতেন। প্রয়জন হলে আপনারাও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে রানিদের মত সৌন্দর্য পেতে পারেন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment