দেবশ্রী মজুমদার: পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কলেজে অতিথি অধ্যাপক, অস্থায়ী আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের স্থায়ীকরণের পক্ষে সরকারি ঘোষণার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদে নামলেন বিশ্বভারতীতে গবেষণারত ও গবেষক ছাত্রছাত্রীরা।
তাঁদের একটাই দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ১৯ তারিখ যেভাবে বিভিন্ন কলেজে অতিথি অধ্যাপক, অস্থায়ী আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের স্থায়ীকরণ করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন, তা বিশ্বভারতী মঞ্জুরী কমিশনের বিধিবদ্ধ আইন তার বিরোধী। এক্ষেত্রে যে সমস্ত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত যুবক যুবতিরা গবেষণা করছেন বা ভবিষ্যতে করবেন , তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
এই ঘোষণা কার্য্যকরী হলে, বিভিন্ন কলেজে মি ফিল, পিএইচ ডি ছাড়াই বহু অধ্যাপক নিয়োগ হবেন। আর যারা ষাট বছর কাল অধ্যাপনা করবেন। তাহলে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। এই আশঙ্কা থেকে বিশ্বভারতীর গবেষণারত ছাত্রছাত্রী ও গবেষকরা উপাসনা গৃহ থেকে পদ্ম ভবন হয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কাছে স্মারক লিপি জমা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই স্মারকলিপি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্বভারতীর ভূগোল বিভাগের আন্দোলনরত ছাত্রী ইন্দ্রানী দত্ত বলেন, বিশ্বভারতী মঞ্জুরী কমিশনের বিধিবদ্ধ আইন অনুযায়ী সি এস সির মাধ্যমে অধ্যাপক নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যদি রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের অতিথি অধ্যাপক, অস্থায়ী আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের স্থায়ীকরণ করা হয়, তাহলে সি এস সি বা কলেজ কমিশনের জন্য কোন পদ থেকেবে না।
আর তাছাড়া বিশ্বভারতী মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী মি ফিল, পিএইচ ডি ডিগ্রি ছাড়া অধ্যাপক নিয়োগ করা যায় না। অতিথি অধ্যাপক, অস্থায়ী আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের ক্ষেত্রে মঞ্জুরী কমিশনের গাইড লাইন না মেনেই এই নিয়োগ করে রেখেছে। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এরপরে আগামী শুক্রবার ফের শিক্ষাভবন মোড় থেকে আমরা পদযাত্রা করব। শিক্ষাভবন ও বিনয় ভবন ক্যাম্প্যাসে শান্তিপূর্ন মিছিল করবো।
একইভাবে আরেক গবেষক ছাত্র প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিশ্বভারতী মঞ্জুরী কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী অতিথি অধ্যাপক, অস্থায়ী আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে তফশিলী জাতি ও উপজাতিদের জন্য যে রোস্টার ফল করা উচিৎ। তা করা হয় না। অন্যদিকে, এই অনৈতিক ভাবে নিয়োগ হলে, ভবিষ্যতে কোন ছাত্ররই আর গবেষণা করতে চাইবেন না। এর ফলে কলেজ শিক্ষার মান কতটা নিচে নামবে বুঝতে পারছেন!
তাছাড়া, কলেজ সার্ভিস কমিশন তার গুরুত্ব হারাবে। আর যেহেতু এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যাল রাজ্যরেত অন্তর্গত এবং এখানকার স্কলাররা রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে চাকরীর সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসে। সেই স্বার্থেই এই প্রতিবাদ আন্দোলন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment