টাকা জমানোর সহজ উপায়

টাকা সকলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। টাকা জমানোর ইচ্ছে বা চেষ্টাও অনেকেরই থাকে। কিন্তু বছরের শেষে এসে দেখা যায় ভাড়ার শূন্য। প্রয়োজনের সময়ে অনেকেই হা-হুতাশ করেন সঞ্চয় না থাকায়। তবে কেউ কেউ আছেন যাদের কাছে সবসময় ভালো সঞ্চয় থাকে। এই মানুষগুলো কী আমাদের থেকে আলাদা? মোটেই না। তবে তাদের আছে এমন কিছু অভ্যাস যার ফলে সঞ্চয় নিয়ে কখনোই তাদের চিন্তিত হতে হয় না। এই অভ্যাসগুলো আপনিও রপ্ত করতে পারলে টাকা জমানো তেমন কিছু ব্যাপার না। কম বয়স থেকেই টাকা জমানোর অভ্যাস করা দরকার।



 অনেকেই ছোটবেলা থেকে মাটির ব্যাঙ্কে টাকা জমানোর অভ্যাস করেন। শুধু তাই নয়, আপনার জমানোর ইচ্ছে থাকলে তা আপনি এই মুহূর্ত থেকেও শুরু করতে পারেন। আজ করব, কাল করব ভাবলে আর জমানো হবে না। এখন যদি ভেবে থাকেন তবে ইওর টাইম স্টার্টস নাউ। জীবনে যেমন ভালো সময় সময় আসে, আসে খারাপ সময়ও। আর খারাপ সময় বলে কয়ে আসে না। জীবনে পরিবর্তন এলে তার সাথে সাথে আপনাকেই পরিবর্তিত হতে হবে। হাতে টাকা কম থাকলেও, বা খরচ বাড়লে বা আয় কমলেও অনেকেই খরচে কোন পরিবর্তন আনেন না। কিন্তু পরিবর্তন আনাটা জরুরী। বুঝেশুনে খরচ করতে না পারলে আপনি কখনই সঞ্চয় করতে পারবেন না।



 আপনার কিছু কিনতে খুব ইচ্ছে হতে পারে। কিন্তু সেটা কি আসলেই আপনার দরকার? যারা সঞ্চয় করেন তারা অ্যাসেটে জোর দেন, অযথা বিলাসিতা দেখান না। নিজেএ অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে দেখবেন টাকা জমানো কোনো ব্যাপারই না। অনেকেই ভাবেন নিয়মিত বেড়াতে যাওয়া, নতুন নতুন পোশাক কেনা বা রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া দরকারি, আসলে কিন্তু তা নয়! যারা সঞ্চয় করতে পটু, তারা নিজেদের জন্য আসলেই যেসব দরকারি সেসব ক্ষেত্রেই খরচ করেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা সামলে চলেন।



 ভাবতেই পারেন প্রয়োজনের বাইরে একটু আধটু খরচ তো করাই যায়। কিন্তু আপনি বুঝে ওঠার আগেই দেখবেন অনেকগুলো ছোট ছোট খরচ মিলে একটা বড় অংকের টাকা বের হয়ে যাচ্ছে আপনার পকেট থেকে। এরকম বড় একটা তালিকা পড়ার পর আপনার হয়ত ভয় লাগছে, ভাবছেন এত কষ্ট করে আর কী সঞ্চয় করব। প্রথমেই কিন্তু এত কিছু আপনার করতে হবে না। অল্প অল্প করে সঞ্চয় শুরু করুন।

 পি/ব