আজ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দক্ষিণ গোলার্ধের প্রায় ৯,৬০০ কিলোমিটার জুড়ে দেখা যাবে । পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের বেশিরভাগটাই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপর। স্থলভাগের কেবলমাত্র চিলি, আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়েতেই প্রত্যক্ষ করা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। পেরু, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং পানামায় দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ। চিলির প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উত্তরে উপকূলবর্তী শহর লা সেরেনা। দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম বড় সৌর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র লা সেরেনায়।
দক্ষিণ আমেরিকায় সেখানেই প্রথম প্রত্যক্ষ করা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখানেই বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রত্যক্ষ করা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। দক্ষিণ গোলার্ধে এখন শীতকাল। আন্দিজ পর্বতমালা অঞ্চল তাই কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন থাকার সম্ভাবনা প্রবল। মঙ্গলবার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের বেশির ভাগ অংশই দেখা যাবে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। সূর্যাস্তের ঠিক আগেই বিকেল নাগাদ দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। পূর্ণগ্রাস হওয়া অবস্থাতেই সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করবে আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ের বাসিন্দারা। প্রায় ৩ মিনিটের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত থাকতে পারে গ্রহণ। সূর্যগ্রহণ স্পষ্টভাবে প্রত্যক্ষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। এর প্রধান কারণ, মঙ্গলবার সূর্যগ্রহণের সময়ে দক্ষিণ আমেরিকার ওই অংশে উত্তর পশ্চিম দিগন্তের সঙ্গে প্রায় ১৩ ডিগ্রি কোনে সূর্য অবস্থান করবে।
তার ফলে, দিগন্ত রেখার আশেপাশে থাকা মেঘে ঢাকা পড়তে পারে সূর্য। চিলির বিভিন্ন অংশ থেকে তাই আংশিক সূর্যগ্রহণও ভাল ভাবে প্রত্যক্ষ করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে, গ্রহণ দেখতে না পাওয়ার আশঙ্কায় দমছেন না মহাকাশবিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশের মহাকাশবিজ্ঞানীরা পৌঁছে গেছেন লা সেরেনায়। তাঁদের মতে অন্যান্য পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের থেকে এটি কিছুটা আলাদা। সূর্যাস্তের এক ঘন্টা বাকি থাকায় গ্রহণের সময়ে সূর্যের রঙ থাকবে উজ্জ্বল কমলা। গ্রহণের সময়ে তাই দেখা যাবে উজ্জ্বল কমলা আলোর বিচ্ছুরণ। তা ছাড়া, চিলিতে আলো দূষণের সমস্যাও কম। তাই আরও স্পষ্টভাবে প্রত্যক্ষ করা যাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য।
পি/ব
No comments:
Post a Comment