সেক্স-সংক্রান্ত বিভিন্ন দেশের কিছু বিচিত্র যৌন আইন

যেখানেই ‘সেক্স’ বা যৌন সহবাস কথাটি ওঠে সেখানেই তোলপাড় হয়ে যায় গোটা সমাজ। কত তর্ক-বিতর্ক, সাহিত্য, উপন্যাস রচনা এই শব্দকে ঘিরে। এই সবকিছুর পাশাপাশি একেক দেশে একেক রকমের সেক্স-সংক্রান্ত নানা আইন রয়েছে। একদেশে যেটা বৈধ,সেটা আবার অন্য দেশে অবৈধ। চলুন জেনে নিই বিভিন্ন দেশে সেক্স বা যৌন সহবাস নিয়ে এমনই কিছু বিচিত্র আইন।

গাড়ির মধ্যে সেক্স করার সময়ে যদি ভুল করে একবার হর্ণ বেজে যায়, তবে ধরে নিয়ে যাবে পুলিশ এমনই আইন রয়েছে নিউ জার্সিতে। ওয়াশিংটন ডিসি-তে বৈধ সেক্স-পজিশন হিসেবে একমাত্র ‘মিশনারি’ পজিশনই গণ্য হয়ে থাকে। মুখে রসুন-পিঁয়াজের গন্ধ নিয়ে স্ত্রীকে চুমু খেতে পারেন না স্বামী এমনই রীতি চালু আছে মার্কিন স্টেট মিনেসোটার আলেকজান্দ্রিয়াতে।ইন্দোনেশিয়ায় স্বকাম বা আত্মরতি মারাত্মক অপরাধ, ধরা পড়লে যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়।

লেবাননে পশুর সঙ্গে সেক্স করা কোনও আইন বিরোধী নয়, তবে তা প্রযোজ্য শুধুমাত্র পুরুষের ক্ষেত্রেই  এবং মেয়ে পশুদের সঙ্গেই শুধুমাত্র সেক্স করা যাবে । কলম্বিয়ার ‘কালি’-তে নাকি এমনই রীতি প্রচলিত যে, বিয়ের রাতে মেয়ের যৌনমিলন স্বচক্ষে দেখতে হয় মা-কে। হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে আলো জ্বালিয়ে সেক্স করা আইনত অপরাধ। এমনকী, স্বামী-স্ত্রীও এই আইন লঙ্ঘন করতে পারেন না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া-তে কোনও পুরুষের গোঁফ থাকলে সর্বসমক্ষে কোনও নারীকে চুমু খাওয়া অবৈধ বলে বিবেচিত হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়াম-এ কুমারী মেয়েদের বিয়ে হয় না। আর এ সুযোগে মেয়েদের কুমারিত্ব হরণকে পেশা করে ফেলেছেন সে দেশের বহু পুরুষ। ম্যাসাচুসেট্স-এ যৌনক্রিয়ার সময় মেয়েরা উপরে থাকা অবৈধ। ফ্লোরিডাতে স্ত্রীর বক্ষে চুমু খাওয়া মানা। মার্কিন স্টেট ওরেগন-এ সেক্স করার সময়ে ‘ডার্টি টক’ অবৈধ । এরকমই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন নিয়ম চলে আসছে যা আজ আপনাকে অবাক করে তুলবে।