লন্ডনের সবচেয়ে উঁচু ভবনে দারুণ চালু এক রেস্টুরেন্ট সুশি সাম্বা। সেখানে বন্ধুকে নিয়ে গেলেন দ্য টেলিগ্রাফের নারী বিষয়ক পাতা 'ওয়ান্ডার ওম্যান'র ডেপুটি এডিটর লুইজা পিকক। কিন্তু লুইজার আপাদমস্তক দেখে তাকে দরজাতেই আটকে দিলেন গার্ড। এর কারণটি হলো, হাই হিল জুতো, ছোট কাপড় পরে সেক্সি হয়ে যাননি তিনি। তার সাধারণ বেশভুষা রেস্টুরেন্টে ঢোকার অনুমতিই মিললো না গার্ডের কাছে থেকে।
এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লুইজা বললেন, আমি আর আমার বন্ধু দুজনই কালো ট্রাউজার ও টপস পরে ছিলাম। আমাদের পোশাক দেখে গার্ড বলেই ফেললেন যে, তারা স্মার্ট পোশাকে আসেননি। তাই ঢুকতে দেওয়া যাবে না। 'তো স্মার্ট হতে হলে কী পরতে হবে?', লুইজার প্রশ্ন। গার্ড জবাব দিলেন, হাই হিল আর... স্মার্ট কিছু পরতে হবে। বিস্ময় নিয়ে গার্ডের দিকে তাকিয়ে থাকলেন লুইজা। বুঝতে পারলেন না যে, ক্লাব মানেই কি হাই হিল জুতো আর স্কার্ট বা ছোট পোশাক? বিস্ময়ের ঘোর কাটলো না লুইজার। প্রথমত সুশি সাম্বা একটি রেস্টুরেন্ট। এর ওয়েবসাইটে ড্রেস কোডের বিষয়ে বলা আছে স্মার্ট ক্যাজুয়াল।
তবে ছাড় দিলেন না সাংবাদিক। গার্ড কেনো স্মার্টনেসের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেবে হাই হিল আর ছোট পোশাক দিয়ে। যে লাইনে দাঁড়ানো ছিলেন সেই লাইনে তারা দুজন ছাড়া বাকিরা সবাই 'স্মার্ট' পোশাকেই এসেছিলেন। কিন্তু কথা হলো, এই রেস্টুরেন্টটি মেয়েদের এখানে এভাবে আসতে বাধ্য করতে পারে না। অথবা যারা এমন নন, তারা কেনো এখানে আসতে পারবেন না?
এই ঘটনায় কী আসলেই গার্ডকে দোষ দেওয়া যায়? আসলে যারা এখানে আসেন, তাদের পোশাকে গার্ডদের ধারণা হয়েছে এটাই বুঝি স্মার্টনেস। যারা এমন পোশাক পড়েন, তারা কী ভাবেন যে আসলেই তারা স্মার্ট? লন্ডনে রেস্টুরেন্টের পরিচালনা ব্যবস্থা এমন হয়েছে যে এখানকার গার্ডরা ঠিক করে দেবে কোনটি স্মার্ট আর কোনটি না।
স্মর্টনেসের কথা বলে নারীদের হাই হিল ও ছোট পোশাক পরাতে যারা উদ্বুদ্ধ করছেন, আমাদের নারীরা তাদের কাছে থেকে শেষ পর্যন্ত স্মার্টনেস শিখছেন। এটাই তাদের কাছে স্মার্টনেস। তাহলে এই যুগে নারীদের স্থান কোথায় চলে গেছে। তাদের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা এবং বোধশক্তির এই নমুনা? এ ঘটনাটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই বলে আমি কিন্তু হাই হিল আর ছোট পোশাক পড়ে স্মার্ট সাজতে যাবো না। কিন্তু এ ঘটনায় মনের শান্তি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই লিখতে বাধ্য হলাম, প্রচণ্ড আক্ষেপের সঙ্গে এভাবেই লিখেছেন নারী পাতার ডেপুটি এডিটর লুইজা।
এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লুইজা বললেন, আমি আর আমার বন্ধু দুজনই কালো ট্রাউজার ও টপস পরে ছিলাম। আমাদের পোশাক দেখে গার্ড বলেই ফেললেন যে, তারা স্মার্ট পোশাকে আসেননি। তাই ঢুকতে দেওয়া যাবে না। 'তো স্মার্ট হতে হলে কী পরতে হবে?', লুইজার প্রশ্ন। গার্ড জবাব দিলেন, হাই হিল আর... স্মার্ট কিছু পরতে হবে। বিস্ময় নিয়ে গার্ডের দিকে তাকিয়ে থাকলেন লুইজা। বুঝতে পারলেন না যে, ক্লাব মানেই কি হাই হিল জুতো আর স্কার্ট বা ছোট পোশাক? বিস্ময়ের ঘোর কাটলো না লুইজার। প্রথমত সুশি সাম্বা একটি রেস্টুরেন্ট। এর ওয়েবসাইটে ড্রেস কোডের বিষয়ে বলা আছে স্মার্ট ক্যাজুয়াল।
তবে ছাড় দিলেন না সাংবাদিক। গার্ড কেনো স্মার্টনেসের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেবে হাই হিল আর ছোট পোশাক দিয়ে। যে লাইনে দাঁড়ানো ছিলেন সেই লাইনে তারা দুজন ছাড়া বাকিরা সবাই 'স্মার্ট' পোশাকেই এসেছিলেন। কিন্তু কথা হলো, এই রেস্টুরেন্টটি মেয়েদের এখানে এভাবে আসতে বাধ্য করতে পারে না। অথবা যারা এমন নন, তারা কেনো এখানে আসতে পারবেন না?
এই ঘটনায় কী আসলেই গার্ডকে দোষ দেওয়া যায়? আসলে যারা এখানে আসেন, তাদের পোশাকে গার্ডদের ধারণা হয়েছে এটাই বুঝি স্মার্টনেস। যারা এমন পোশাক পড়েন, তারা কী ভাবেন যে আসলেই তারা স্মার্ট? লন্ডনে রেস্টুরেন্টের পরিচালনা ব্যবস্থা এমন হয়েছে যে এখানকার গার্ডরা ঠিক করে দেবে কোনটি স্মার্ট আর কোনটি না।
স্মর্টনেসের কথা বলে নারীদের হাই হিল ও ছোট পোশাক পরাতে যারা উদ্বুদ্ধ করছেন, আমাদের নারীরা তাদের কাছে থেকে শেষ পর্যন্ত স্মার্টনেস শিখছেন। এটাই তাদের কাছে স্মার্টনেস। তাহলে এই যুগে নারীদের স্থান কোথায় চলে গেছে। তাদের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা এবং বোধশক্তির এই নমুনা? এ ঘটনাটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই বলে আমি কিন্তু হাই হিল আর ছোট পোশাক পড়ে স্মার্ট সাজতে যাবো না। কিন্তু এ ঘটনায় মনের শান্তি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই লিখতে বাধ্য হলাম, প্রচণ্ড আক্ষেপের সঙ্গে এভাবেই লিখেছেন নারী পাতার ডেপুটি এডিটর লুইজা।
from ap bangla | অ্যানালিটিক্যাল প্রেস | Analytical Press | http://bit.ly/2XiPJ4l
No comments:
Post a Comment