MISS BANGLA যেখানে সেখানে থুতু ফেলায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় জনসমক্ষে থুতু ফেলাকে। একইসাথে এই অভ্যাসটি স্বাস্থ্যের জন্যও একটি মারাত্মক ঝুঁকি।

যেখানে সেখানে থুতু ফেলাকে যদি বদ অভ্যাস বলা হয়, তবে এই বদ অভ্যাস আর্থিক এবং সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে অনেকেরই রয়েছে ।  "পরিবেশ যেমন দেখি ঠিক তেমনভাবেই চলতে হয়। চারিদিকে ময়লা-আবর্জনা, কেউ সচেতন থাকতে পারে কেউ পারে না"। 

কিন্তু শুধুমাত্র অপরিচ্ছন্নতা বা দেখতে নোংরা লাগার বিষয় নয় এটি। যেখানে সেখানে থুতু ফেলার বড় বিপদ হচ্ছে রোগ-বালাই সংক্রমণ।

"যাদের কোন রোগ নেই তারাও যখন থুতু ফেলে তখনও তাদের মুখের মধ্যে কিছু রোগ-জীবাণু থাকে। বিশেষ করে যারা ভাইরাসজনিত রোগে ভুগছে তাদের থুতু ও শ্লেষ্মার সাথে সেই ভাইরাসটি বেরিয়ে আসে। যেহেতু এটি একটি ভেজা অবস্থায় থাকে, ভাইরাসটি জীবিতও থাকে অনেক বেশি"।

সরাসরি সংস্পর্শে এসে বা বাতাসের মাধ্যমে থুতু ও কফ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায়ও উঠে এসেছে এশিয়া অঞ্চলের শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর বিষয়গুলোর অন্যতম জনসমক্ষে থুতু ফেলা। যত্রতত্র থুতু ফেলা নিষিদ্ধ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এমনকি ভারতেরও কিছু এলাকায় আইন রয়েছে এবং জরিমানারও বিধান রয়েছে।


"প্রথমে জনগণকে সচেতন করার দিকেই যেতে হবে। আইন করা বা জরিমানা করার মত পরিস্থিতিএখনো নেই। সোসাইটি এখনো সেভাবে প্রস্তুত হয়নি।" বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।  মেয়র বলেন, একটি বড় জনগোষ্ঠির মধ্যে শহরে জীবনধারণের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয়নি এই বাস্তবতা থেকেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। সেখানে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে এই বিষয়টিও যোগ করা উচিত। ঢাকার অনেক সমস্যার মাঝে যেখানে সেখানে থুতু ফেলাটা হয়তো খুব সামান্য মনে হতে পারে। কিন্তু একইসাথে এটি এমন একটি সমস্যা যেটির সমাধানও প্রায় বিনামূল্যেই করা সম্ভব। শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা।

from মিস বাংলা http://bit.ly/2ZZuWES