বাঁকুড়ার একটি সাধারণ পরিবারের ছেলে
সুব্রত দত্ত । অভিনয় করার বা অভিনেতা হবার কোন ইচ্ছেই ছিল না । কলেজে জূওলজী নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে এম বী এ করবেন ভাবছিলেন, ঠীক তখনি খবরের কাগজে একটি বিজ্ঞাপন দেখেন ন্যাশনাল স্কুল অফ
ড্রামা -র , দিল্লী তে ৪০ দিনের একটি
ওয়ার্কশপের । শুধু মাত্র ফ্রি তে খাওয়া যাবে
বলে আর এম বী এ করার জন্য হাতে অল্প সময় আছে ভেবে অংশ গ্রহণ করেন , আর আজ তিনি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সব রকম সিনেমা তে সমান ভাবে কাজ করে জাচ্ছেন । তবে শুধু টাকার জন্য না , ভালো স্ক্রিপ্ট হলে কম টাকা তেও কাজ করতে রাজি । সুব্রত দত্তের বিশেষ সাক্ষাতকার নিলেন আমাদের প্রতিনিধি সৌমেন
দাস।
ঠিক করে বাংলা তে কথা বলতে পারতেন না, বাঁকুড়া জেলার চলতি ভাষার একটা টান ছিল , সেখান থেকে এই মুহূর্তে টলি থেকে বলি সব জায়গায় অবাধ আনাগোনা
আপনার - বাঁকুড়া কে মনে পড়ে ?
-আমি এখনও যাই আমার বাড়ি , তবে এখন গেলে একটু ভিড় হয়ে যায় । লোকজন ভিড় করে দেখে আমাকে । নিজের বাড়িতে ভিড় থাকলে একটু অসুবিধা
হয় তবে অই ভিড় টাকে সামলাতে হয় এই যা ।
বাংলায় সিনেমা হলগুলো এক এক করে বন্ধ
হয়ে যাচ্ছে ? কি মনে হয় বাংলা সিনেমার
ভবিষ্যৎ নিয়ে ?
- আমরা অনেকেই এখনও গর্ব করি মাঝে মাঝে
, যে কলকাতায় এখনও ৫০ টাকায়
মাছ ভাত পাওয়া যায় , ২ টাকায় চা পাওয়া যায় । আসলে এটা খুব দুঃখের কারন একটা দল ৩৬
বছর রাজত্ব করে গেলেও সাধারন মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। কিন্তু অন্য দিকে ফিল্ম মেকিং এর খরচা বা সাধারন মানুষের আনুসাঙ্গিক
খরচা বেরেছে । সিনেমা হল গুলো সঠিক পরিসেবা দিতে পারছে না । মাল্টিপ্লেক্সে সকলের যাবার ক্ষমতা নেই তাই হল গুলোর এই অবস্থা । তবে এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সবাই চলে যাচ্ছে মানুষ যখন মোবাইলে
দেখতে পাচ্ছে তখন আর হলে যাবেই বা কেন ?
সিমেমার পাশাপাশি এখন শর্ট ফিল্মের
বাজার অনেক ভালো , প্রায় সব অভিনেতা অভিনেত্রী
রাই শর্ট ফিল্মে কাজ করছেন , আপনার কি মতামত ?
- শর্ট ফিল্ম আগেও হত । সত্যজিত রায় বা অনেকেই করতেন । কিন্তু সেগুল দেখার সুযোগ ছিল কম কিন্তু এখন শর্ট ফিল্ম দেখানোর সুযোগ টা অনেক
বেশি তাই সকলে শর্ট ফিল্মে ঝুঁকছেন । আর মানুষ প্রজুক্তি গত ভাবে আগের থেকে
অনেক উন্নত হয়েছে সেতাও একটা বড় কারন ।
পর পর বেশ কিছু হিন্দি সিনেমা করার
পর বাংলা সিনেমা করতে ইচ্ছে করে ? পারিশ্রমিক তো মুম্বাই তে বেশি কোলকাতার থেকে !
- পারিশ্রমিক টা একটা ব্যাপার ঠিকই, কিন্তু আমি সব সময় পারিশ্রমিক দেখি না । যদি চরিত্র ভালো হয়, স্ক্রিপ্ট ভালো হয় তাহলে আমি অনেক কম পারিশ্রমিকেও কাজ করেছি করিও... ফলত বাংলা
ছবি এখনও করে জাচ্ছি ।
ছোট পর্দার সিরিয়াল থেকে কখনো অফার
এসেছে ?
- হ্যাঁ , অনেক । কিন্তু সিরিয়ালে কাজ করতে হলে অন্তত
২/৩ বছর টাইম দিতেই হবে , তার জন্য আমি এখনও প্রস্তুত নই। কারন একটার পর একটা ফিল্মের অফার পেয়ে
জাচ্ছি । যতক্ষণ এটা করছি ততক্ষণ সিরিয়াল করার সুযোগ খুব কম ।
নতুন বাংলা ছবিতে, আপনাকে কবে দেখতে পাবো আমরা ?
-
খুব তাড়াতাড়ি । এবছর ৩ তে বাংলা ছবি মুক্তি পেতে চলেছে । অমিতাভ দাশগুপ্ত পরিচালিত 'দোতারা '' আশিস রায়ের ' সিতারা ' আর অর্ণব পাল পরিচালিত ' বৃষ্টি তোমাকে দিলাম '
- { চলবে }

No comments:
Post a Comment