নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই কংগ্রেস-বিজেপিকে পেছনে ফেলে উত্তর মালদা লোকসভা আসনে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন মৌসম বেনজির নূর। এবার প্রচারে নেমে পড়লেলন তৃণমূলের আর এক প্রার্থী, দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার মোয়াজ্জেম হোসেন। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর সময় নষ্ট না করে মালদায় পৌঁছেই বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় শহরের সুকান্ত মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে জোর কদমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিলেন।
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা থেকে মালদায় পৌঁছন মোয়াজ্জেমবাবু। এরপর সোজা চলে যান দলীয় কার্যালয়ে। সেখান থেকে কর্মী সমর্থকদের সাথে ব্যানার, পোস্টার নিয়ে শহরের সুকান্ত মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে জনসংযোগের মাধ্যমে তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন। তিনি বলেন, গত লোকসভা ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি উঁচু পদে চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিই। কিন্তু সেই সময় অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। পাশাপাশি সংগঠনেও দুর্বলতা ছিল। এই কারণে আমি গত বার পরাজিত হই। এরপর মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি করেন। একেবারে নিচুতলার কর্মীদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন স্তরে সংগঠনকে মজবুত করি। মালদা জেলার দলীয় অবজারভার শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে সরকারি প্রকল্পগুলির কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে সেদিকে নজর রেখে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছই। যার ফলস্বরূপ পঞ্চায়েতে অভূতপূর্ণ সাফল্য পায় তৃণমূল কংগ্রেস।
এখন মালদা জেলায় তৃণমূল যথেষ্ট শক্তিশালী। এবছর মুখ্যমন্ত্রী আমাকে প্রার্থী করেছেন। এই সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের প্রতিটা ঘরে ঘরে পৌঁছেছে। একদিকে উন্নয়ন অন্যদিকে সংগঠন, পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তৈরির স্লোগান ও সেই মতকে সামনে রেখেই মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।
চায়ের দোকান এই কারণে বেছে নিলাম তার কারণ বরাবরই আমি মালদা শহরে আসলে প্রথমে চায়ের দোকানে কিছুটা গল্পগুজব করি। তাতে মানুষের সাথে যোগাযোগ যেমন বাড়ে পাশাপাশি মানুষের মনের কথা ও জানা যায়। সেই কারণে প্রতিদিনের অভ্যাসটাকে পরিবর্তন করিনি। বেলা গড়ালে তিনি সোজা জেলা শাসকের কাছে গিয়ে বর্তমানে সরকারী পদে মনোনীত থাকা দুটি পদ থেকে ইস্তফা দেন। মোজাম হোসেন বলেন, এবার মানুষ আমাকে অবশ্যই আশীর্বাদ করবে ও মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাই মানুষ দেখবে।
তৃণমূল তার নির্বাচনী প্রচার জোরকদমে শুরু করে দিলেও দেখা যায়নি কংগ্রেস ও বিজেপিকে। যদিও বিজেপির মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক অজয় গাঙ্গুলি বলেন, এখনো আমাদের প্রার্থী ঘোষণা হয়নি তবে সাংগঠনিক কাজকর্ম চলছে।
No comments:
Post a Comment