বিয়ে নিয়ে আড়ম্বর ও বাহ্যিক দেখনদারি সব ধরনের মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। আনন্দের প্রকাশে যদি একটু বেশি রঙ চড়িয়ে সকলের নজরে আসা যায় সে সুযোগ কে আর হাতছাড়া করতে চায়, অবশ্যই হাতে যদি থাকে সেই পরিমাণ অর্থবল। আর এই বিয়ের অনুষ্ঠান যদি হয় নামজাদা মানুষদের তাহলে তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আড়ম্বরে ত্রুটি থাকবে না কোনই।
সম্প্রতি আমরা বলিউড তারকাদের দারুণ সব বিবাহ অনুষ্ঠান দেখছি। শুরু হয়েছে বিরাট অনুষ্কার ইতালির রুপকথার মতো বিবাহ বাসর দিয়ে। আর এখন আমরা কথা বলছি ধন কুবের মুকেশ আম্বানির মেয়ের বিয়ে নিয়ে। বিয়েতে এলাহি আয়োজন হবে সে তো স্বাভাবিক।
ঈশা আম্বানির বিয়েতে বসেছিল চাঁদের হাট। শুধু দেশের নামি তারকারা নন। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন। বিয়ের আগে থেকে চলা অনুষ্ঠানে এসে হাজির ছিলেন মার্কিন পপস্টার বিয়ন্সে। চাঁদের হাটে আলোর জোয়ার লাগে যখন তিনি নাচের তালে সকলের সাথে পা মেলান।
বিয়ের আরম্বরের অনেক গল্পই তো শুনেছেন। তবে ১৫ দিন ধরে চলা আম্বানি কন্যার বিবাহ বাসরের কথাই আলাদা। সেসবের ছবি ও গল্প তো সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে অনেক দেখলেন। তবে এটা কি জানেন ১৫ দিন যাবত চলা অনুষ্ঠান গুলিকে ক্যামেরা বন্দী করলেন কে বা কারা ?
স্বপ্ন পূরণ হল কোন ফটোগ্রাফারের ? তার নাম হল বিবেক সেকিরা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টানা ১৫ দিন ধরে ঈশা ও আনন্দের বিয়ের মোট ১ লাখ ২০ হাজার ছবি তুলেছেন বিবেক ও তার ফোটোগ্রাফারদের দল। হ্যাঁ, ঠিকই শুনলেন সংখ্যাটা।
বিবেকের বয়ান আমরা তুলে ধরলাম – “আমি জানতামই না, বিয়েটা কার। জুন মাসে একজন বলেছিলেন, ডিসেম্বরের ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ফাঁকা থাকতে। আমায় নিজের কিছু কাজও পাঠাতে বলা হয়েছিল। কিছুদিন পরই আমাকে নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু বিয়েটা কার, তা গোপন রাখা হয়।”
৪৭ বছর বয়সী বিবেক হয়ত বুঝেছিলেন বেশ উঁচু মহলের কাজ এটা। তবে এটা হয়ত আশা করেননি যে স্বয়ং আম্বানি পরিবারের বিয়ের কন্ট্রাক্ট পেতে চলেছেন।
ঘটনাটি অত্যন্ত অনুপ্রেরনাদানকারী। কাজ যদি মন দিয়ে করা যায় ভাগ্যের চাকা একদিন না একদিন উপরে নিয়ে জাবেই আপনাকে।
No comments:
Post a Comment