প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : কংগ্রেস ,তৃণমূল কংগ্রেস সহ মোদী বিজেপি বিরোধীরা নীরব মোদীকে নিয়ে লোকসভা ভোটের ইস্যু তৈরি করে প্রচার সভা থেকে সবে আক্রমণ শুরু করেছিল। রাহুল গান্ধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই হারিয়ে ফেললেন নীরব মোদী নামক হাতিয়ার। মোদীর চৌকিদারদের সাথে সাক্ষাতের আগেই লন্ডনে গ্রেফতার হলেন ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কান্ডের মুল অভিযুক্ত নীরব মোদী। রাহুল গান্ধী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের এতদিনকার চৌকিদার থেকে চোর সবখানেই মোদী এই কটাক্ষ্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফিরিয়ে দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
অন্যদিকে , রাহুলদের এখন খুঁজতে হবে বিজয় মালিয়ার মত অন্য কোনও নাম। সেক্ষেত্রে যদি বিজয়ও গ্রেফতার হন তাহলে মোদীর ভোট বৈতরনী কেল্লাফতে। মোদীর ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি নিয়ে বাংলায় তৃণমূলের কটাক্ষ্য বন্ধ হতে পারে। সেই সাথে ভোট বাক্সেও প্রভাব পড়তে পারে । আর তা আটকাতে কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে থাকবে শেষ অস্ত্র দাঙ্গা হিংসা। যদিও তা কতক্ষণ ধোপে টিকবে বা ভোটাররা গিলবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যকারিনী কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি,মোদী জামানায় ব্যক্তি গত এবং বিচ্ছিন্ন যত ঘটনা দেশে ঘটেছে তার বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলার কালিয়াচক, ধুলাগড়,বাদুড়িয়া ও দূর্গাপুর। বাদুড়িয়া কান্ডের ক্ষতির সমতুল্য হতে পারে দেশের বাকি ঘটনাগুলোর সমতুল্য।পাশাপাশি গ্রেফতারের তালিকায় বিজেপি আরএসএস নেই। জয়ের আরও দাবি, মাইক নিয়ে সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির নামে দাঙ্গাবাজ ,সাম্প্রদায়িক বলার সময় এবার যেন তৃণমূল পরিসংখ্যান দেয়। জয়ের প্রশ্ন, মানব দরদী তৃণমূল হিসেব দিক পঞ্চায়েত ভোটের পরিবেশ থেকে লোকসভা পর্যন্ত বাংলায় খুনের সংখ্যা। তৃণমূল আর ওদেরযবুদ্ধিজীবীরা তো সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলতে মোমবাতি মিছিল করে। এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চায়। তৃণমূল প্রমান দিক বাংলায় খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিচয় প্রকাশ করে। নরেন্দ্র মোদীর বুকের পাটা আছে বলেই তো অগস্টা থেকে পিএনবি অভিযুক্তরা বিদেশেও গ্রেফতার হয়।
প্রসঙ্গত ইডির আবেদনের ভিত্তিতে নীরবের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। আর শেষপর্যন্ত বুধবার তাঁকে লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। সূত্রের খবর, এদিনই ওয়েস্টমিনিস্টার কোর্টে তোলা হবে ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপে অভিযুক্ত নীরব মোদিকে। তবে আদালতে জামিনের জন্য আপিল করবেন নীরব মোদি। উল্টোদিকে, তাঁকে দেশে প্রত্যার্পণ করার চেষ্টার কোনও কসুর রাখবে ভারত সরকার। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মোদি। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধ না করেই দেশ থেকে পালিয়ে যান এই হিরে ব্যবসায়ী। বহুদিন বেপাত্তা থাকার পরই চলতি মাসেই লন্ডনের রাস্তায় দেখা মিলেছিল পলাতক এই ব্যবসায়ীর। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিই দেখতে পান তাঁকে। তারপর বেশ কিছু প্রশ্নও করেন। যদিও সেই সব প্রশ্ন সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন নীরব মোদি।
ওই সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, লন্ডনের অভিজাত এলাকায় ফের হিরের ব্যবসা শুরু করেছেন নীরব। এমনকী লন্ডনেরই সেন্টার পয়েন্ট টাওয়ার ব্লকে মাসে প্রায় ১৭ হাজার পাউন্ড দিয়ে বিলাসবহুল এক ফ্ল্যাটও ভাড়া নিয়েছেন তিনি। এই খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে ভারত সরকার। লন্ডন থেকে নীরব মোদিকে দেশে ফেরাতে তৎপর হয়ে ওঠে বিদেশমন্ত্রক–সহ ইডিও। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পিএনবি ব্যাঙ্কের সঙ্গে জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত নীরব মোদির প্রত্যর্পণের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ করে ইডি। এখন দেখার লন্ডন আদালত কী নির্দেশ দেয়?
No comments:
Post a Comment