অল্প বয়সেই মেয়েদের অস্বাভাবিক শরীরী পরিবর্তন কেন? - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 13 March 2019

অল্প বয়সেই মেয়েদের অস্বাভাবিক শরীরী পরিবর্তন কেন?

বয়ঃসন্ধি অর্থাৎশরীরে যে পরিবর্তন গুলি ১৩ বছর বা তার পর থেকে আসার কথা সেই সব পরিবর্তনগুলি যদি তার বহু আগে চলে আসে, তখন সেই সবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে একটি বাচ্চা মেয়ের পক্ষে তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল মেনস্ট্রুয়েশন সেই সঙ্গে রয়েছে ব্রেস্ট ডেভলপমেন্ট  আর আশ্চর্যের ব্যাপার হল বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শহুরে মেয়েদের ঋতুস্রাব এখন থেকে বছর বয়সেই হয়ে যাচ্ছে
অকাল বয়ঃসন্ধিকে প্রিকশাস পিউবার্টি বলে। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নানা সমস্যা। শারীরিক অস্বস্তি ছাড়াও প্রিকশাস পিউবার্টির জন্যে মেয়েদের মধ্যে অনেক সময়েই মানসিক কিছু সমস্যাও দেখা দেয়। এর প্রধান কারণ হল, শারীরিক এই সব পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গেলে মানসিকভাবে যতটা পরিণত হওয়া উচিত তা এত কম বয়সে হওয়াটা সম্ভব নয়

কিন্তু শহরের মেয়েদের মধ্যে হঠাৎকরে এমন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে কেন?
ভারতের নয়াতি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনিকোলজি বিভাগের প্রধান ডা. বর্না বেনুগোপাল রাও-এর মতে জীবনযাপনের ধরন, পরিবেশ দূষণ এবং অন্য বেশ কয়েকটি কারণ এই অকাল পিউবার্টির জন্যে দায়ী। তারই মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি হল...
. বাচ্চাদের মধ্যে ওবিসিটির মাত্রা বেড়ে যাওয়া। এর জন্যে দায়ী খাবারের অভ্যেস এবং বদলে যাওয়া জীবনযাপন
. কৃত্রিম হরমোন এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া পোলট্রির খাবার যেমন মাংস, ডিম। জেনিটিকালি ইঞ্জিনিয়ার করা শাকসবজি এবং শস্য
. প্লাস্টিকে সিন্থেটিক রাসায়নিক বিসফেনল - থেকে উপস্থিতি
. পেস্টিসাইড
. ছোট থেকেই খুব স্ট্রেসের মধ্যে জীবন কাটানো, বাড়ির পরিবেশ সুস্থ স্বাভাবিক না হওয়া
. প্রেগনেন্সি এবং প্রেগনেন্সি পরবর্তী সময়ে যে সব মায়েরা অত্যধিক  সয় ডায়েটের উপরে থাকেন তাঁদের ইউটেরাসের ফাইটোইসট্রোজেন এক্সপোজার বেশি হয়, যা ভ্রূণের ক্ষতি করে
. এখন বেশির ভাগ সময়েই সাধারণ যে জল সরবরাহ করা হয় তার মধ্যে ফ্লুরাইড মেশানো হয়। এই ফ্লুরাইড শরীরে মেলাটনিনের সঞ্চালন কমিয়ে দেয় যার ফলে অকাল পিউবার্টি হয়

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি পদক্ষেপ করতে হবে:

. সন্তানকে মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত করলে হবে না
. প্রেগনেন্সির সময়ে সয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এমনকি সন্তানকে যে বেবি ফুড খাওয়াবেন, খেয়াল রাখবেন তা যেন সয় বেসড না হয়
. অর্গানিক খাবার এবং অর্গানিক মাংস খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন
. তাজা খাবার খান। প্রসেসড এবং প্যাকেজড খাবার এড়িয়ে যান
. প্লাস্টিক পাত্রের বদলে কাচের পাত্রে খাবার রাখুন
. যে সব দুধ এবং অন্যান্য ডেয়ারি প্রডাক্টে জেনিটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড রিকম্বিন্যান্ট বোভাইন গ্রোথ হরমোন থাকে সেই সব খাবার এড়িয়ে যান


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad