বনগাঁ নিয়ে বিপাকে বিজেপি ! কোন্দল চরমে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 19 March 2019

বনগাঁ নিয়ে বিপাকে বিজেপি ! কোন্দল চরমে



বিশ্বজিত দেবনাথ, হাবড়া :

তৃণমূলের হাতছাড়া হতে থাকা বনগাঁ নিয়ে বিপাকে বিজেপি।সৌজন্যে দুলাল বর ও শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্টদের একাংশ। তৃণমূলের ঘরের ছেলে তথা কংগ্রেসের বিধায়ক দুলাল বর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর জেতার পরিস্হিতিতে থাকা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বিপাকে পড়ল বিজেপি বাংলা নেতৃত্ব। রবিবার মতুয়া বড় মা বীনাপানি দেবীর নিয়ম ভঙ্গ অনুষ্ঠানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ঠাকুর বাড়ি ছাড়েন দুলাল বাবু।

এরপর মঙ্গলবার বিজেপির ঘরের প্রার্থী না হলে ভোট এবার অন্য ফুলে স্লোগান লেখা ব্যানারে দুলাল বরের ছবিতে কাটা চিহ্ন দিয়ে পোষ্টার পড়ল বনগাঁ শহর জুড়ে। এমনকি বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে দুলালে আপত্তি বিষয়টি আনতে বনগাঁ শিয়ালদা ও বনগাঁ রাণাঘাট শাখার আপ ও ডাউন  ট্রেনের গায়ে মঙ্গলবার দেখা যায় পোষ্টার । দেখা যায় দুলাল বরের ছবিতে কাটা চিহ্ন দিয়ে লেখা আছে বিজেপির ঘরের প্রার্থী না হলে ভোট এবার অন্য ফুলে।


এই ঘটনা নিয়ে বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল জানান এই সমস্ত তৃনমূলের কাজ। আমাদের দল যে প্রার্থী দেবে তার জন্য কর্মীরা কাজ করবে। আমরা প্রার্থী দেখিনা আমরা দলীয় প্রতীক দেখি। তৃনমূলের নেতা শঙ্কর আঢ্য জানিয়েছেন বিজেপির গোষ্ঠী বাজির ফল। এই সমস্ত নোংরামির সাথে তৃনমূল যুক্ত থাকেনা।

যদিও বিজেপি সুত্রের খবর, এবার বনগাঁ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার আবেদন পড়ে পঞ্চাশের বেশি।এরই মধ্যে বিজেপির বিধান সভার প্রার্থী আর্থিক ভাবে সচ্ছল শংকর ঠাকুরও উঠে পড়ে লেগেছে বনগাঁ কেন্দ্রের প্রার্থী হতে। আবার মতুয়া সমাজের কিছু মানুষ চাইছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুরের সাথে লড়াই হোক ঠাকুর বাড়ির কোনও সদস্যের। আর এক্ষেত্রে নাম উঠে আসছে মঞ্জুল পুত্র শান্তনু ঠাকুরের। গতমাসে শান্তনু ঠাকুরের আমন্ত্রণে ঠাকুরনগরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শান্তুনু ঠাকুর আগেই বলেছেন, ঠাকুরবাড়ি রাজনীতি মুক্ত হোক।রবিবার বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয় বর্গীয়র সাথে আগের মত শান্তনু ঠাকুরের সখ্যতা দেখা যায়নি।

 সুত্রের খবর, শান্তনু ঠাকুর বনগাঁ লোকসভার জন্য
স্বপন মজুমদার ও শংকর ঠাকুরের নাম বিজেপির কাছে প্রস্তাব করে প্রার্থী দিতে। আর রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের জন্য অরবিন্দ বিশ্বাস ও বিভা মজুমদারের নাম প্রস্তাব করে। বিজেপির ব্যাখ্যা মতুয়া ঠাকুরবাড়ির আবেগের থেকে তৃণমূলের এনআরসি বিলের বিরোধীতা এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষণের কারনে শুধু মতুয়া নয় ওপার বাংলা থেকে আসা ষাট শতাংশের বেশি পিছিয়েপড়া সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে।তবে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের ঘরের ছেলে তথা কংগ্রেসের বিধায়ক দুলাল বরকে বনগাঁ কেন্দ্রের প্রার্থী করলে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুরের জয়ের মার্জিন আগের তুলনায় বাড়বে।কারণ, সাংসদ প্রার্থী হিসাবে দুলাল বরের গ্রহনযোগ্যতা এবং ভাবমূর্তি বনগাঁ লোকসভার জন্য ফিট নয়।

তবে বিজেপির একাংশ দাবি করছে তাদের চিন্তন কমিটির কাছে  শান্তনু শেষমেষ  তৃণমূল প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুরের সতীনের মেয়ে অর্থার প্রয়াত কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের প্রথম পক্ষের মেয়ে সিলভিয়া ঠাকুরের নাম প্রস্তাব করে।

যদিও এপ্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad