“কেন্দ্রীয় বাহিনী নোংরামি করতে পারে। তাদের ভয় পাবেন না। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোদীবাবুর চামচাগিরি করতে দেব না। আমাদের ভোট আমরা নেবই”। সোমবার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুরের জনসভায় এভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
এদিন দুপুরে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুরে জনসভা ছিল তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। এদিনের জনসভা থেকে অনুব্রত মণ্ডল জানালেন, তৃণমূল বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায় গতবারের থেকে চারগুন বেশি ভোটে জয়ী হবে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী যতই ভোটের ৪৫ দিন আগে আসুক তার জেলার মানুষ যেন তাদের দেখে ভয় না পান তার বার্ত্তা দেন। বলেন, কিসের ভয়। যারা এসেছে তারাও তো আমার আপনার মত ঘরের ছেলে। এদিকে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে এক বিজেপি কর্মীর নিজের বাড়িতে পতাকা তুলতে গেলে শাসক দলের নেতারা হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু সে নিয়ে বিজেপি পুলিশে অভিযোগ জানাতেই শাসক দলের নেতারা নিজেদের ভুল শুধরে নেয়।
এই পরিস্থিতি পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে বিধানসভায় ছিল না বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান। কারন গত দশ বছরে পরপর দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিউড়ি দুই ব্লকে কোনও নির্বাচন হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় জয়ী হয়েছে তৃণমুল প্রার্থীরা। সে কথা মাথায় রেখে অনুব্রত মণ্ডল বললেন, কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাহিনী অসভ্যতা করছে। বীরভূমে তা করতে দেব না। কোনও অন্যায় করলে আমরা তার মোকাবিলা করব। কেন্দ্রিয় বাহিনী তুমি তো নিরপেক্ষ। কোনও দলের নও। তাহলে মোদীবাবুর এজেন্ট হয়ে কেন কাজ করবে। আমরা এ জেলায় তা করতে দেব না। আমাদের অধিকার আছে ভোট চাইবার। আমরা উন্নয়ন করেছি। তাই সেই দাবিতেই ভোট চাইব। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। একই সঙ্গে তিনি পরামর্শ দেন গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গেলে তাদের তৃণমূল কর্মীরা স্যালুট করবে।
বাড়িতে গেলে নকুলদানা দিয়ে জল খাওয়াবে। তবে তার জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারির ওপর তাদের কড়া নজর আছে সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, দরকারে আইনত ব্যবস্থা নেব। ছেড়ে কথা বলব না। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিমান, বুদ্ধ, রবিন দেব ও সূর্যকান্ত মিশ্রকে নিয়েও কটাক্ষ করেন অনুব্রত। বলেন বুদ্ধদেব অসুস্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখতে গিয়েছিলেন। রবিন। বিমানের বয়স হয়ে গিয়েছে, অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। সূর্যকান্ত চলতে পারে না। রবিন দেব অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে। পার্টি অফিসে কিছু খোল খঞ্জনি আছে। কলকাতার রাস্তায় খোল খঞ্জনি বাজাও তোমরা।
No comments:
Post a Comment