@ নিকিতা বিশায় , প্রেসকার্ড নিউজ :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়া ধামে মাথা নিচু করে প্রণাম করবেন। দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মতুয়া ছাড়াও পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন বর্ণের মানুষ এবং ঠাকুরনগরবাসীর কাছে পরম প্রাপ্তি। তৃণমূলের মাঠ রাজনীতিকে ঠাকুরনগরবাসী ছি ছি করছে প্রকাশ্যে। দেশভাগের পর বাঙালী উদ্বাস্তু সমস্যায় মোদীর উদ্যোগের কাছে তৃণমূলের রাজনীতিকে " নোংরা " বলে তিরস্কার করছে সাধারণ মানুষ।টগবগ করে ফুটছে মানুষ।যা দেখে আগেই কার্যত ঘাবড়ে গেছেন উত্তর চব্বিশ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সাথে বার কয়েক ডেকে কথা বলেন।সুত্রের খবর,দলনেত্রী ঠাকুরনগর পরিস্হিতি নিয়ে জেলা সভাপতির কাছে খোঁজখবর নেন।
এরআগে বুধবার মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মোদী রাজ্যে এলেও জিরো।না এলেও জিরো।মতুয়াদের ডাকে প্রধানমন্ত্রী আসবেন।তো তৃণমূল কেন চিন্তিত? প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রীর সাফ জবাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মিথ্যে বলবেন বলেই আমরা ততপর। অর্থাত ,খাদ্যমন্ত্রী প্রথমেই বলছেন মোদী প্রভাব পড়বেনা।পরক্ষণেই বলছেন, মিথ্যে বলবেন মোদী।সেকারনেই তৃণমূল ততপর। প্রভাব যখন পড়বেনা তাহলে মিথ্যে কথা বললে কি আসে যায় ! সেদিন খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আনছে বিজেপি। এপ্রসঙ্গে মতুয়া সুত্রের খবর, যারা আসছেন তারা মতুয়া সম্প্রদায়ের।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর সভায় উপস্হিত থাকবেন হাজার কুড়ির বেশি মতুয়া সম্প্রদায়ের লোক। এমনকি মোদীর আগমন ঘিরে বিজেপি নয় বিভিন্ন যায়গা থেকে যুব সম্প্রদায় নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে আসছেন। জনমানসে
প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুর বাড়িতে আগমন উপলক্ষে উদ্মাদনা তুঙ্গে তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন স্বয়ং মমতা বালা ঠাকুর।মতুয়া সম্প্রদায় সুত্রের খবর, মমতা বালাকে নিয়ে তৃণমূলের রাজনীতি পছন্দ করছেন না বিরাট অংশের মানুষ।লোকসভা ভোটে তারা তৃণমূলকে কোনও ভাবেই সমর্থন করবেন না বলে খবর।
এমন পরিস্হিতিতে সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর জানিয়েছেন , আগামীকাল তাঁর নেতৃত্বে মতুয়া ধর্মের ভক্তরা যে নাম সংকীর্তনের ব্যবস্থা করেছিল তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর।
অন্যদিকে মোদী সফরের আগের দিন বিকেল অর্থাত শুক্রবার মোদী তুমি দুর হাটো স্লোগান দিয়ে কয়েক হাজার তৃনমূল কর্মী মিছিল করে ঠাকুরনগরে।ঠাকুর বাড়িতে আসতে চলছে দেশের প্রধানমন্ত্রী । আর তার আগেই রাজ্য রাজনীতির ঠাকুরনগর গরম হয়ে উঠছে। কয়েক হাজার তৃনমূল কর্মী নিয়ে সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের নেত্বৃত্বে স্টেশন এলাকা থেকে মিছিল শুরু করে। সবার হাতে মোদী বিরোধী ফেস্টুন এবং মুখে স্লোগান। ঠাকুর বাড়ির সামনে দিয়ে গিয়ে স্টেশনে শেষ হয়।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ঠাকুর বাড়ির মাঠ রাজনীতিতে তৃণমূল বিজেপিকেই টেক্কা দিয়েছে বলা হলেও বিজেপি এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের বিদ্যজনেরা তা মনে করেন না।তাদের দাবি, তৃণমূলই মোদী আগমন প্রচার দিয়ে টিআরপি তুলে দিয়ে নিজেরাই পঁচে গেছে।তাদের ব্যাখ্যা, যে মাঠে মোদী সভা করবেন সেই মাঠটি আগে থেকেই ঠিক করে মেলার মাঠ চাওয়া হয়েছিল।যথারীতি তৃণমূলের ছকমত মমতা বালা ঠাকুর মাঠে কীর্তণের জন্য বন্দ্যোবস্ত করেন।এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শান্তুনু ঠাকুর বিকল্প মাঠের ব্যবস্হা করেন।মাঠ রাজনীতিতে তৃণমূল বিজেপির কাছেই হার মানল।ঠাকুরনগরের মাটিতে কানপাতলেই শোনা যাচ্ছে সবই সম্ভব হয়েছে , মুকুল রায়ের কৌটিল্য বুদ্ধিতে। আর ঠাকুরনগরের তৃণমূলের অন্দরের গুঞ্জন , উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় তৃণমূলের জন্য নতুন মুখ আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
No comments:
Post a Comment