বাংলার গনতন্ত্র ও সেক্যুলারিজম নিয়ে প্রশ্ন তুলে পক্ষপাতিত্ব আর সিন্ডিকেট রাজের রমরমা উর্বর ক্ষেত্র বলে কটাক্ষ করে ত্রিফলা আক্রমন শানালো বিজেপির বাংলা ব্রিগেড। পাকিস্তান প্রেমী কানাইয়ারা বাংলায় সভা করতে পারে আরামে।অথচ, বিজেপি পারেনা।এখানে সিন্ডিকেট রাজের হিংসা ,মহিলা নির্যাতন হতে পারে।কিন্তু বিজেপি সভা করতে পারে না। জন সাধারণের মনে দীলিপ বিপ্লব ও জয় এমন পক্ষপাতদুষ্ট তৃণমূলের মানসিকতা ঢুকিয়ে দিলেন।
ত্রিপুরা থেকে বিপ্লব দেবকে বাংলায় দুদিনের ঝটিতি সফর করিয়ে তৃণমূলকে ধাক্কা দিয়ে নাড়িয়ে দেওয়ার ছকে আপাত সফল বিজেপি। দিদির সিন্ডিকেট রাজের বিনাশ হবে মথুরাপুরে জনসভা থেকে হুংকার দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এর পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে ভোটের প্রচারে ছড় তুলতে আসরে নেমেছে রাজ্য বিজেপি। এক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুটি বড় বড় সভা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক মহলের। বুধবার মধুরাপুরে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিয়ে এসে সভা করেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিপ্লব দেব বলেন, তৃণমূল বর্তমানে বামেদের জেরক্স কপি হয়ে গিয়েছে। রাজ্যুজুড়ে বামেদের কায়দায় সন্ত্রাস শুরু করেছে। তবে বিজেপি সব সন্ত্রাসকে প্রতিহত করে লড়াই করবে বলে জানান বিপ্লব দেব। ২০১৯ মুখ্যমন্ত্রী সব টের পাবেন। লোকসভা ভোটের ফলাফল বলে দেবে সন্ত্রাস করে রাজত্ব টিকিয়ে রাখা যায় না। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, উন্নয়ন না হওয়াতেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে মানুষ বিরক্ত। তাই তৃণমূল ভোটের আগে সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন বিপ্লব দেব।এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ২০১৯ এর পর দিদির সিন্ডিকেট রাজ বিনাশ হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, দেশের মধ্যে এক মাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও আপনার রাজ্যে মহিলাদের উপরে বেশি অত্যাচার হচ্ছে।
ভারতের যত জমি আছে তার প্রত্যেকটা ইঞ্চির মালিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই উনি কোথায় যাবেন আর কোথায় যাবেন না। তার জন্যে মমতা বালা ঠাকুরের মত ক্ষুদ্র নিকৃষ্ট সাংসদের নিমন্ত্রনের প্রয়োজন নেই। তৃণমূল সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরকে নিশানা করে জয় বলেন, সংসদে কিভাবে কথা বলতে হয়, সংসদে সেই কথা বলতে আমরা ওনাকে কোনও দিন দেখিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে মমতা বালা ঠাকুর সাংসদ হয়েছেন। মমতা বালা ঠাকুর বলছেন, আমরা তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিমন্ত্রন করিনি। এদিন জয় বলেন, বিশ্বের সব থেকে বড় দলের নেতা অমিত শাহ বাংলায় সভা করতে আসলে তাকে কিভাবে বাঁধা দেওয়া হবে। সভা করতে না দেবার চক্রান্ত শুরু হয়ে যায়। এদিন অবশ্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এর ব্যাখ্যা করে বলেন, নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ এলে ওদের কলঙ্ক ও কেলেঙ্কারি সুন্দর ভাবে ফাঁস করে দেয়। সেই ভয়েই ওনাদের সভা করতে বাঁধা দেওয়া হয়।
এদিন কাঁথিতে অমিত শাহের সভার প্রসঙ্গ টেনে এনে জয় বাস ভাংচুরের ঘটনা নিয়ে বলেন, অমিত শাহের সভায় কলঙ্কের ইতিহাত তৈরি করছে তৃণমূল। আমাদের ৩শো টা বাস ভেঙে দিয়ে তৃণমূল বাসের চালকদের ও অনেক কর্মীদের মারলো। অথচ, যে পাকিস্থান জিন্দাবাদ বলে ধ্বনি দিল।সেই কানাইয়া কুমারকে আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি জামাই আদর করে কলকাতায় ব্রিগেডে সভা করার জন্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। তারজন্যে কোনও বাধা নেই।
No comments:
Post a Comment