নতুন বছরের প্রাক্কালে হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলায় একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে পাহাড় ধসে আট থেকে ১০টি যানবাহন চাপা পড়ে গেছে। প্রায় 15 থেকে 20 জনের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনজনকে বের করা হয়েছে। ২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
তথ্যমতে, দাদম খনি এলাকায় পাহাড়ের একটি বড় অংশে ফাটল ধরে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ত্রাণ কাজে নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মীরা। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কৃষিমন্ত্রী জেপি দালাল এবং এসপি অজিত সিং শেখাওয়াত।
ভিওয়ানির এসপি অশোক শেখাওয়াত জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনায় 2 জনের মৃত্যু হয়েছে এবং 2 জন গুরুতর আহত হয়েছে। চারটি পোকেলেন, চারটি ডাম্পার ও অন্যান্য মেশিন পাহাড়ের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে কত মানুষ চাপা পড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এসপি জানান, ত্রাণ তৎপরতা চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে।
হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলায় দুর্ঘটনার বিষয়ে হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রী জেপি দালাল বলেছেন যে, তিনি স্পষ্টভাবে জানেন না যে এই দুর্ঘটনায় কত লোক চাপা পড়েছে, তবে কিছু লোক প্রাণ হারিয়েছে। তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে যত দ্রুত সম্ভব সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে লোকজনকে সরিয়ে নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভিওয়ানির খনি এলাকা দাদমে। এখানে পাহাড় ধসে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বহু মানুষ চাপা পড়ে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এ দুর্ঘটনায় পপল্যান্ডসহ খনির কাজে ব্যবহৃত অনেক মেশিনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেছে।
এখন পর্যন্ত পাহাড় ধসে পড়ার কারণ জানা যায়নি। পাহাড়টি নিজে থেকে পিছলে গেছে নাকি বিস্ফোরণের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তোশাম অঞ্চলের খানক ও দাদমে পাহাড়ের খনির কাজ বড় পরিসরে হয়। দূষণের কারণে 2 মাস আগে খনির কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এনজিটি বৃহস্পতিবারই খনির কাজ পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। এনজিটি-র অনুমতি পেয়ে শুক্রবার থেকেই খনির কাজ শুরু হয়। 2 মাস ধরে খনির কাজ বন্ধ থাকায় নির্মাণ সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে সেখানে বড় পরিসরে ব্লাস্টিংয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment