আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক জিনিস ব্যবহার করি যার নাম আমরা জানি কিন্তু কেন এমন নামকরণ করা হয়, তা জানি না। যেমন, আমরা প্রতিদিন পায়ে স্লিপার পরি, কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন স্লিপারের নাম হাওয়াই চপ্পল হল, এটি তো আর হাওয়ায় ওড়ে না। আসলে এর পেছনে অনেক গল্প আছে। আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
অনেক ইতিহাসবিদদের মতে, আমেরিকায় ‘হাওয়াই’ নামে একটি দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপে একটি বিশেষ ধরনের গাছ পাওয়া যায়। এই গাছটিকে বলা হয় 'টি'। এই গাছ থেকে একটি বিশেষ ধরনের রাবারের মতো কাপড় তৈরি করা হয়, যা থেকে স্লিপার তৈরি করা হয়। সেগুলোকে বলা হয় ‘হাওয়াই চপ্পল’। অন্য কথায়, আমেরিকান দ্বীপ হাওয়াই গাছের ফ্যাব্রিক থেকে যে চপ্পল তৈরি করা হয় তাকে হাওয়াই চপ্পল বলা হয়। যাইহোক, তাদের ডিজাইন হাওয়াই চপ্পল নামক চপ্পল থেকে খুব আলাদা ছিল।
যদিও থোং- এর ইতিহাস জাপানের সাথেও যুক্ত। বলা হয়ে থাকে যে থোং নকশা জাপানে পরা ফ্ল্যাট চপ্পল ‘জোরি’ বা হাইহিল স্যান্ডেল ‘গেটা’-এর মতোই। এ ছাড়া জাপানের গ্রামীণ এলাকা থেকে আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে কাজ করার জন্য কিছু শ্রমিক আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের স্লিপারের নকশাও পৌঁছে গিয়েছিল হাওয়াইতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার সৈন্যরা ব্যবহার করত মার্কিন তৈরি থোং। আমেরিকার থোংগুলি সৈন্যদের দ্বারা ব্যবহারের কারণে সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
অন্য গল্প
হাওয়াই চপ্পল নামের পিছনে আরেকটি গল্প আছে, যা খুবই বিখ্যাত। আসলে, ব্রাজিলে জুতা তৈরির জন্য একটি খুব বড় সংস্থা রয়েছে, যার নাম 'হাওয়াইনাস'। হাভাইয়ানারা 1962 সালে রাবারের স্লিপার তৈরি করা শুরু করে। সেখানে এই স্লিপারগুলোকে ফ্লিপ-ফ্লপ বলা হয়। এই চপলগুলি সাদা এবং নীল রঙের ছিল, যা থংগুলির সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সাধারণ নকশা। হাভাইয়ানারা সারা বিশ্বে এই নীল এবং সাদা রঙের চপ্পল সরবরাহ করেছিল। এর পরে এই চপ্পলগুলি সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
No comments:
Post a Comment