মস্তিষ্ক যে কোনও মুহূর্তে অচল হয়ে যেতে পারে! আজই ত্যাগ করুন এই ৩ অভ্যাস

মানুষের শরীরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তার মস্তিষ্কে। যে কাজই করেন না কেন, তা মস্তিষ্কর নির্দেশেই করেন।পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা তাদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও বোধশক্তি দিয়ে বিশেষ পরিচিতি তৈরি করেছেন। এই কারণেই পরিবারের প্রবীণরা তাদের শিশুদের মস্তিষ্ক শাণিত করতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে উৎসাহিত করেন।

কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে, অনেক সময় আমরা নিজের অজান্তেই এমন অভ্যাস গ্রহন করে ফেলি, যার প্রতি অবিলম্বে মনোযোগ না দেওয়ার কারণে মস্তিষ্কর কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা এর কাজ ধীর হয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে নিই সেই অভ্যাসগুলো কী, যেগুলো অবিলম্বে ত্যাগ করা আমাদের জন্য উপকারী।

মিষ্টির অত্যধিক ব্যবহার

খাওয়ার পরে কিছু বা কিছু মিষ্টি খাওয়া আমাদের ভারতীয়দের খাদ্যশৈলীর একটি বিশেষ অংশ। তবে এই খাবার হজম করতে নিয়মিত হাঁটা বা জগিং করাও প্রয়োজন। এটি করতে ব্যর্থ হলে, খাবার অপাচ্য থেকে যায় এবং শরীরের ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি বেশি দৌঁড়াতে না পারেন, তবে আপনার খুব বেশি মিষ্টি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। এটি করতে ব্যর্থ হলে ডায়াবেটিস হতে পারে এবং স্মৃতিশক্তিও কমে যেতে পারে।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া

একজন ব্যক্তির সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ভালো ঘুম হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও, মস্তিষ্ক জাগ্রত থাকলেও এর কোষগুলি শিথিল থাকে। আপনি যদি এর চেয়ে কম ঘুমান তবে আপনার কোষগুলি পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না এবং তারা ক্লান্ত থাকে। এর প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে এবং ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক কাজ করা কমিয়ে দেয়।

ছোটখাটো বিষয়ে রাগ করা

কথোপকথনের সময় মাঝে মাঝে রেগে যাওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যাইহোক, এটি যদি আপনার অভ্যাসের অংশ হয়ে যায় তবে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। আসলে রাগের কারণে মস্তিষ্কের রক্তকণিকার ওপর চাপ পড়ে, যার কারণে মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় রাগের কারণে তার ব্রেন হ্যামারেজও হতে পারে। ক্রমাগত রাগের কারণে মস্তিষ্কের চিন্তা ও বোঝার ক্ষমতাও কমে যায়।