করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনের কারণে দিল্লীতে হইচই। দেশের রাজধানীতে ওমিক্রনে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি জিম্বাবুয়ে ফেরত। উল্লেখ্য, ওমিক্রন প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ জিম্বাবুয়েতেও ওমিক্রনে আক্রান্ত অনেক রোগী পাওয়া গেছে। দিল্লীতে আক্রান্ত এই ব্যক্তিও দক্ষিণ আফ্রিকায়ও গিয়েছিলেন।
দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ওদিকে গত ২৪ ঘন্টায়, মুম্বাইতে ওমিক্রনে আক্রান্ত ৭ এবং গুজরাটে ওমিক্রনে আক্রান্ত ২ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর পর দেশে ওমিক্রন রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২। দিল্লীতে নতুন করে একজন ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ায় সেই সংখ্যা বেড়ে হল ৩৩। ৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পর শনিবার ও রবিবার মুম্বাইয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং সমস্ত বড় সমাবেশ, মিটিং-মিছিলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে আগত নাগরিকদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রন নিয়ে IIT কানপুর দাবী করেছে যে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ শীর্ষে থাকবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এর প্রভাব দেখা যাবে। যদিও ওমিক্রন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম বিপজ্জনক এবং শিশুদের ওপর এর প্রভাব কম পড়বে। ভারতীয়দের মধ্যে স্ব-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তার ওপর প্রভাব কম হবে। ওমিক্রন রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। যেসব রোগী আগে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। ভ্যাকসিন এবং সতর্কতাই প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা আবশ্যক। হালকা লকডাউনের পরিস্থিতি হতে পারে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারও ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক। রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আক্রান্ত দেশ থেকে যারা আসছেন তাদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যাত্রীদের। নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরও ৭ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের ৮ম দিনে পুনরায় পরীক্ষা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment