নয়াদিল্লি: ভ্যাকসিনকে করোনভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে এরই মধ্যে ল্যানসেটের একটি গবেষণা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, AstraZeneca-Oxford-এর কোভিড-19 ভ্যাকসিনের প্রভাব, যা ভারতে কোভিশিল্ড নামে পরিচিত, তিন মাস পরে কমতে শুরু করে। উল্লেখ্য, ভারতে জনগণকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বড় আকারে এবং গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, এটি বেশ উদ্বেগজনক।
কোটি মানুষের ওপর গবেষণা করা হয়েছে
ল্যানসেট গবেষণায়, স্কটল্যান্ড এবং ব্রাজিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ অধ্যয়ন করা হয়েছিল। এই ফলাফলগুলি স্কটল্যান্ডের 2 লক্ষ এবং ব্রাজিলের 4.2 কোটি লোকের ওপর পরিচালিত একটি সমীক্ষার তথ্যের উপর ভিত্তি করে ছিল, যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।
হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা হ্রাস
স্কটল্যান্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন যে, ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার প্রায় পাঁচ মাস পরে কোভিড-19 থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনের প্রভাব কমতে শুরু করে তিন মাসের মধ্যে। স্কটল্যান্ড এবং ব্রাজিলের গবেষকরা দেখেছেন যে, 'দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের চার মাস পরে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি তিনগুণ বেড়ে যায়। একই সংখ্যা ব্রাজিলের জন্য দেখা গেছে,' তিনি যোগ করেছেন।
বুস্টার ডোজ সম্পর্কে চিন্তা করা দরকার
যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আজিজ শেখ বলেন, 'করোনা মহামারী মোকাবিলায় ভ্যাকসিন একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, তবে প্রভাবের অভাব কিছু সময়ের জন্য উদ্বেগের বিষয়।' তিনি যোগ করেছেন, 'অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রথম কখন হ্রাস পেতে শুরু করে তা সনাক্ত করে, সর্বোচ্চ সুরক্ষা বজায় রাখা নিশ্চিত করতে সরকারগুলিকে বুস্টার প্রোগ্রাম তৈরি করা উচিৎ।'
ভারতে 139 কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, দেশে এখনও পর্যন্ত (23 ডিসেম্বর সকাল 7 টা পর্যন্ত) করোনা ভ্যাকসিনের 139.69 কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে 83.14 কোটি প্রথম ডোজ রয়েছে। একই সময়ে সারাদেশে ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ নিয়েছেন 56 কোটি 54 লাখ 89 হাজার 939 জন। উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড ছাড়াও আমাদের দেশে কোভ্যাকসিন এবং স্পুটনিক ভি দেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment