পৃথিবীতে এমন অনেক গাছ-গাছালি আছে যেগুলো অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এরকম একটি ঔষধি গাছ হল আদুসা বা বাসক। এই গাছটি অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি বেশিরভাগ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
কাশি এবং হাঁটু ব্যথার জন্য :- শুকনো কাশি দূর করতে বাসক পাতার ক্বাথ, শুকনো আঙ্গুর ও চিনি মিশিয়ে পান করতে হবে।
হাঁটুর ব্যথা উপশম করে :- বাসক ভেষজ হাঁটুর ব্যথা এবং ফোলা কমাতে ব্যবহার করা হয়। এতে পাওয়া অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ বাতের প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও দুর্বলতা দূর হয় :- আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, বাসক গাছের ফল, ফুল, পাতা ও মূল রোগ ব্যাধি প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এটি শুধু কাশি, শ্বাসকষ্ট, রক্তক্ষরণ এবং কফের জন্যই উপকারী নয়, বরং এর পাতা থেকে তৈরি ক্বাথ কোষ্ঠকাঠিন্য ও শরীরের দুর্বলতার ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
হাঁপানিতে উপশম :- বাসক পাতার গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার চেটে খেলে হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর পাতা পিষে কাপড়ে বেঁধে এর রস বের করে ২০ গ্রাম রস দিনে দুবার পান করলে নাক, কান বা মল দিয়ে রক্ত পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
টিবি ও কাশিতে উপশম :- যক্ষ্মা ও কাশিতে ২৫ গ্রাম বাসকপাতার গুঁড়ো, ২৫ গ্রাম গিলয়ের গুঁড়ো ২০০ মিলি জলে দীর্ঘক্ষণ সেদ্ধ করে এর ক্বাথ তৈরি করুন। ৫০ গ্রাম ক্বাথ মধুর সাথে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা পান করলে কাশি ও কফ সহজে বের হয়ে যায়।
ঋতুস্রাবে আরাম :- ঋতুস্রাবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সমস্যা থাকলে বাসক পাতার রস চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এই পাতার রসে তুলসী, আদার রস ও যষ্টিমধুর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে জ্বর উপশম হয়।
মাথাব্যথা এবং মুখের আলসার :- বাসকপাতা জলে সেদ্ধ করে ক্বাথ তৈরি করে মধু ও মিছরির সাথে সকাল-সন্ধ্যা খেলে মাথা ব্যথা উপশম হয়। দুই থেকে তিনটি পাতা চিবিয়ে রস চুষে খেলে মুখের ঘা সেরে যায়। মনে রাখতে হবে চিবানো পাতার রস চোষার পর থুথু ফেলতে হবে।
দাঁত এবং মাড়ি ব্যথা :- বাসকের ডাল দিয়ে ব্রাশ করলে দাঁত ও মাড়ির সমস্যা নিরাময় হয়।
প্রস্রাবের রোগে উপশম দেয় :- যাদের প্রস্রাব ঠিকমতো হয় না বা ঘনঘন যেতে হয় তাদের জন্য তরমুজের বীজ ১০ গ্রাম ও বাসকপাতা ১০ গ্রাম ভালো করে পিষে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment