লিভার আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজও করে। লিভার শুধুমাত্র রক্তকে বিশুদ্ধ করে না, এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বাজে খাদ্যাভ্যাস এবং দীর্ঘদিন ধরে শরীরে আসা পরিবর্তন উপেক্ষা করলে লিভার সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যায়। বেশি মশলাদার খাবার, অতিরিক্ত মদ্যপান বা বাইরে খাওয়ার কারণে লিভারের বেশিরভাগ ক্ষতি হয়। লিভার ফেইলিউরের মধ্যে ফ্যাটি লিভার, প্রদাহ এবং লিভারের সংক্রমণ অন্তর্ভুক্ত।
কিছু সহজ ঘরোয়া খাবারের সাহায্যে আপনি আপনার লিভারকে সারাজীবন ফিট এবং সুস্থ রাখতে পারেন। আসুন জেনে নেই এই ঘরোয়া খাবারগুলো সম্পর্কে।
পেঁপে :
বিভিন্ন ধরনের ফল নিজেদের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রাখে, তার মধ্যে একটি হল পেঁপে যা অনেক উপকারে পরিপূর্ণ। লিভার সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সমস্যা বা পেট সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সমস্যার জন্য পেঁপে খুবই উপকারী একটি ফল। যেভাবেই হোক, একজন মানুষের উচিৎ ফলমূলকে তার জীবনযাত্রার অংশ করা, আর পেঁপে সরাসরি লিভারের উপকার করে। সকালের খাবারে বা জুস আকারে পেঁপে যোগ করলে আপনি লিভার ভালো রাখতে পারেন এবং সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বিটরুট :
বিটরুট খাওয়া লিভারের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীর থেকে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। বিটরুট আমরা স্যালাড বা সবজি হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।
হলুদ :
হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-সেপ্টিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপনি খাবারের সাথে হলুদ খেতে পারেন এবং গরম দুধের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।
পালং শাকের রস :
পাচনতন্ত্র ভালো রাখতে পালং শাকের রস পান করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। পালং শাক ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ক্যারোটিন, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি একটি শক্তিশালী খাবার যা লিভারের জন্য পুরোপুরি উপকারী।
এছাড়াও , ভালো ঘুম :
আপনি যদি পূর্ণ আট ঘন্টা ঘুমান তবে আপনার স্বাস্থ্য সবসময় ভাল থাকবে। ঘুমের অভাবও আপনার লিভারের জন্য ভালো নয়। ঘুমের অভাবে লিভারের ওপর বেশি চাপ পড়ে, তাই শরীরকে বিশ্রাম দিতে হলে আপনাকে পূর্ণ আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
No comments:
Post a Comment