আমাদের খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখা উচিৎ যা শুধু মরসুমি রোগ থেকেই রক্ষা করে না আমাদের সৌন্দর্যেরও যত্ন নেয়। আসুন জেনে নেই এই সুপারফুডগুলোর নাম ।
আমলকি :
প্রতিদিন একটি করে কাঁচা আমলকি খান। আপনি যদি কাঁচা আমলকি খেতে পছন্দ না করেন, তাহলে আচার, চ্যবনপ্রাশ বা জুস আকারে খেলেও উপকার পাবেন। আয়ুর্বেদের মতে, শীতকালে আমলকির চ্যবনপ্রাশ খাওয়া খুবই ভালো।
এ ছাড়া শুকনো আমলকি এক রাত জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিলে চুলের স্বাভাবিক রং বজায় থাকে এবং খুশকির সমস্যা হয় না। এছাড়া প্রতিদিন এক চামচ আমলকির রস পান করলে ব্রণ সেরে যায়।
তিল, বাদাম ও আখরোট :
এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’ পাওয়া যায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি চুল, নখ, ত্বক ও চোখকে সুস্থ রাখে।
শীতে উপকারী :
আদা, রসুন, হলুদ ও মেথির সবুজ পাতা শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না শীতে শরীর গরম রাখতেও কাজ করে। তাই শীতকালে প্রতিদিন আদা চা পান করুন। সর্দি-কাশি হলে সরিষার তেলে রসুনের কোয়া ভেজে সেই তেল মালিশ করুন। মেথির শাক খান, রুটি বা পরোটা তৈরি করুন।
ফল ও সবজি :
গাজর, শসা, শালগম, বিট, ক্যাপসিকাম, আপেল, স্ট্রবেরি, আলুবোখরার মতো অনেক রঙিন ফল ও সবজি পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
মধু :
সর্দি-কাশি হলে হালকা গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করলে শিশুদের দ্রুত উপশম হয়। কাটা ত্বকে মধু লাগানো অ্যান্টিসেপটিক এবং শুষ্ক ও ফাটা ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে ।
চায়ের বিকল্প :-
লেবু পাতার চা :
আট-দশটি লেবু পাতা চা পাতার সাথে জলে ফুটিয়ে তাতে কিছু চিনি মিশিয়ে পান করুন। এনার্জি পাওয়ার পাশাপাশি এটি পেটের সমস্যায়ও আরাম দেবে।
আদা, গোলমরিচ ও লবঙ্গ চা :
কিছু আদা, ৪ টি গোলমরিচ ও দুটি লবঙ্গ সেদ্ধ করার পর তাতে সামান্য কালো লবণ মেশান। আপনি চাইলে এতে চিনিও দিতে পারেন। এটি টনসিল, মাথাব্যথা এবং ঠান্ডায় উপশম দেয়।
তুলসী চা :
জলে ৩-৪ টি তুলসী পাতা ফুটিয়ে তাতে চিনি ও এক চিমটি এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
No comments:
Post a Comment