ইউনেস্কো (UNESCO) কলকাতার দুর্গা পূজাকে ইনট্যানজিবেল কালচার হেরিটেজ অর্থাৎ মানবতার অধরা ঐতিহ্যের তকমা দিয়েছে। আর এই সুসংবাদে খুশি প্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার ইউনেস্কোর কলকাতার দুর্গা পূজা উৎসবকে ঐতিহ্যের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে "প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের বিষয়" বলে বর্ণনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্যুইট করেছেন, "এটি প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের বিষয়! দুর্গা পূজা আমাদের ঐতিহ্য এবং নীতির উদাহরণ দেয় এবং কলকাতার দুর্গা পূজা এমন একটি অভিজ্ঞতা, যা প্রত্যেকেরই থাকা উচিৎ।"
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সংস্থা ট্যুইটারে দেবীর মূর্তি সম্পর্কিত একটি ছবি পোস্ট করেছে এবং লিখেছে, 'কলকাতার দুর্গা পূজা ইনট্যানজিবেল কালচার হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভারতের জন্য শুভকামনা।'
এদিন ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষজন দুর্গা বন্দনায় মেতে ওঠেন। দশ দিনব্যাপী উৎসবের আসল টান 'ঘরে ফেরা'। প্রতিমা গড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে এবং বাড়িতে পূজা-অর্চনায় মেতে ওঠেন সকলে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "মেয়ের ঘরে ফেরার উৎসব হিসেবে ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয় এই দুর্গা পুজো। মহালয়ার দিন থেকে শুরু করে দশমীর দিন মেয়েকে বিদায় জানানো হয় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। নতুন জামা-কাপড়, খাওয়া-দাওয়া, ধর্ম ও শিল্পের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। সব মিলিয়ে পুজোর উৎসব জায়গা করে নিয়েছে অনুভূতির অঙ্গ হিসেবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যেখানে সকলেই মেতে ওঠেন একসঙ্গে।"
বাংলার ঝুলিতে বিশ্ব সম্মান আসার এই খুশি এই উপলক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ট্যুইট করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, বাংলার জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত! সারা বিশ্বের প্রতিটি বাঙালির কাছে দুর্গা পূজা একটি উৎসবের চেয়ে অনেক বেশি, এটি এমন একটি চেতনা যা সবাইকে এক করে এবং এখন, দুর্গাপূজা মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। আমরা সবাই খুব খুশি!
দুর্গোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এটি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে এক সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। উত্সবের আগের মাসগুলিতে, কারিগররা পবিত্র গঙ্গা নদী থেকে আনা মাটি ব্যবহার করে দেবী দুর্গা এবং তার পরিবারের সকল দেব সদস্যের মূর্তি তৈরি করে। এই সময়ে, সারা বাংলার অসংখ্য কারিগর এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে এবং বিষয়ভিত্তিক প্যান্ডেলের মাধ্যমে তাদের শিল্পকলা প্রদর্শন করেন।
No comments:
Post a Comment