ভারতের রাফাইল যুদ্ধবিমান দেখে আতঙ্কিত পাকিস্তান আবারও চীনের কাছে সাহায্য চেয়েছে। চীনের কাছ থেকে 25 J10C 'চেংডু' বিমান কেনার চুক্তি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদের মতে, এই J10C বিমানগুলি চীন থেকে কেনা হচ্ছে শুধুমাত্র রাফাইল যুদ্ধবিমান মোকাবেলার জন্য। পাকিস্তানের দাবী, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চ নাগাদ চীনের কাছ থেকে এই যুদ্ধবিমান পাওয়া শুরু হবে।
তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী শেখ রশিদ দাবি করেছেন যে চীন থেকে নেওয়া J10C যুদ্ধবিমানগুলিও আগামী বছর পাকিস্তান দিবসের ফ্লাই পাস্টে দেখা যাবে। প্রতি বছর ২৩মার্চ পাকিস্তান দিবস পালিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে J10C যুদ্ধবিমান পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের কাছ থেকে J10C এর পুরো স্কোয়াড্রন কিনতে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে এই চুক্তির দাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
চীনের J10C ফাইটার জেট চেংডু এবং Vigors-Dragon নামে পরিচিত। চীনের চেংডু শহরে নির্মাণের কারণে এর নামকরণও করা হয়েছে 'চেংদু'। J10C চীনের J10 যুদ্ধবিমানের একটি আপগ্রেড সংস্করণ। এটি একটি একক ইঞ্জিনের ফাইটার জেট যা আকাশ থেকে আকাশে যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। তবে চীনের দাবি, এটি বহু-মিশনে ব্যবহার করা যাবে। গত 20 বছর ধরে চীন এই J10 যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। পাকিস্তান হবে প্রথম দেশ যারা চীন থেকে J10C কিনবে। গত বছর চীন ও পাকিস্তানের যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল J10 যুদ্ধবিমান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, J10C কোনও প্রতিযোগিতায় রাফাইল যুদ্ধবিমানের সামনে দাঁড়ায় না। একক ইঞ্জিন হওয়ার পাশাপাশি এটি আমেরিকার F16 যুদ্ধবিমানের আদলে তৈরি করেছে চীন। JF16 একটি খুব পুরানো ফাইটার জেট এবং পাকিস্তানও ব্যবহার করে। রাফালে একটি টুইন ইঞ্জিন ওমনি-রোল বিমান। J10C এর আগে, পাকিস্তান চীনের সহায়তায় JF17 যুদ্ধবিমান ('থান্ডার')ও তৈরি করেছে, যেটি পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর কমব্যাট স্কোয়াড্রনের অংশ।
No comments:
Post a Comment