হাল্কা হার্ট অ্যাটাকের কিছু অচেনা লক্ষণ সম্পর্কে জানেন কী

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ মারা যায়। আমরা টিভি ও সিনেমার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ জেনে থাকি। এর মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা, অস্থিরতা এবং ঘাম।

 কিন্তু এর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা খুব কম মানুষই জানেন।  সেজন্য হাল্কা হার্ট অ্যাটাকের কিছু অনাচিত লক্ষণের কথা জানব।  চলুন জেনে নিই সম্পর্কে।

 আবহাওয়া ঠাণ্ডা হলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আপনি যদি হার্ট অ্যাটাক এড়াতে চান, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়াও এর কিছু লক্ষণও জানা উচিৎ।

 

 হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ মারা যায়। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা, অস্থিরতা এবং ঘাম।  কিন্তু এর বাইরেও হার্ট অ্যাটাকের এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা খুব কম লোকই জানে।

 একই সময়ে, এই লক্ষণগুলিকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা আপনার জীবনও নিতে পারে।  সেজন্য  ছোটখাটো হার্ট অ্যাটাকের কিছু অনাচিত লক্ষণের কথা সম্পর্কে জানবো।  চলুন জেনে নিই তাদের সম্পর্কে।

 হাল্কা হার্ট অ্যাটাক : হার্ট অ্যাটাক হল এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ডে রক্ত ​​চলাচল ব্যাহত হয়।  এর কারণ রক্তের ধমনীতে জমে থাকা চর্বি কোলেস্টেরল। 

 রক্তের ধমনীর ব্লক যদি সময়মতো অপসারণ না করা হয়, তাহলে অক্সিজেনের অভাবে হার্টের টিস্যু মারা যেতে শুরু করে। যেখানে হাল্কা হার্ট অ্যাটাকের সময় হৃৎপিণ্ডের সামান্য অংশই আক্রান্ত হয়, এতে হার্টের স্থায়ী ক্ষতি করে না।

এর কারণ হল হাল্কা হার্ট অ্যাটাকে, একটি ছোট রক্তের ধমনীতে একটি ব্লকেজ দেখা দেয় যা রক্ত ​​​​প্রবাহ হ্রাসের জন্য দায়ী।  এতে ধমনীতে রক্ত ​​চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে না। 

যার কারণে কিছু সময়ের জন্য এর লক্ষণ দেখা যায়।  কিন্তু এর মানে এই নয় যে হাল্কা হার্ট অ্যাটাক বিপজ্জনক হতে পারে না।  বরং, এটি হার্ট ফেইলিউর, অস্বাভাবিক হার্টবিট এবং অন্যান্য হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।  আসুন জেনে নেই এই হালকা হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ।

 ঘাড় এবং চোয়াল ব্যথা: হার্ট বা চোয়ালে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের সাথে যুক্ত বলে মনে হয় না।  কিন্তু এগুলো হালকা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ মাত্র।

 ঘাড় বা চোয়ালের পেছনের ব্যথাকে যে কোনো উপায়ে হালকাভাবে নিলে আপনার অবস্থা খারাপ হতে পারে।  বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

 এতে চোয়াল থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ঘাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।  এই ব্যথা খুব আকস্মিক এবং এর জন্য কোন সতর্কতা চিহ্ন নেই।  এছাড়াও, ওয়ার্কআউট সেশনের পরে এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে।

 হাতে ব্যথা বা কাঁপুনি: হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল হাতে ব্যথা বা ঝাঁকুনি।  সাধারণত, এই লক্ষণটি বাম হাত দিয়ে শুরু হতে পারে এবং শরীরের নীচের বাম দিকে যেতে পারে।  এ ছাড়া সামনে এগোলে বুকে ও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে বা নাও হতে পারে।

 ঘাম: তীব্র ওয়ার্কআউট সেশনের পরে বা গ্রীষ্মে ঘাম হওয়া খুব সাধারণ।  কিন্তু বসে থাকলে বা রাতে হঠাৎ ঘামতে শুরু করলে তা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। 

এই উপসর্গটিকে একেবারে উপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করুন।

 শ্বাসকষ্ট এবং মাথা ঘোরা: সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পর যদি আপনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন এবং মনে করেন যে আপনি একটি দীর্ঘ ম্যারাথন দৌড়েছেন, তবে এটি একটি চিহ্ন হতে পারে যে আপনার হৃদয় সঠিকভাবে কাজ করছে না।

 শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরা ছাড়াও বুকে ব্যথা এবং অন্যান্য উপসর্গও হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দিতে পারে।  এই লক্ষণগুলি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়।  তবে এই ধরনের লক্ষণ মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

 বুক জ্বালা এবং পেটে ব্যথা: অনেক ক্ষেত্রে পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।  যেমন বেলচিং, বুক জ্বালা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি হালকা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।  এই লক্ষণগুলি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

 হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের টিপস: আপনি যদি সুস্থ শরীর চান তাহলে সঠিক খাবার বেছে নিন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে থাকুন।  এ ছাড়া পুরো জীবনধারা পরিবর্তন করে চাপমুক্ত জীবনযাপন করুন।

 এছাড়াও হার্ট অ্যাটাকের কোনও লক্ষণকে হালকাভাবে নেবেন না।  লক্ষণগুলি অনুভব করার সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।