পৃথিবীতে সব থেকে পবিত্র বন্ধন হল, বিয়ে। বিয়ে শুধু দুটো মানুষের হয়না, দুটো পরিবার দুটো আত্মার মেল বন্ধন। "ভালোবাসার হাত খানি ছেড়োনা কভুও", বিয়ের পর এটাই বলতে মন চায় দুটো আত্মার।
মনের সাথে আত্মার মিলন হয় এখানে। কথায় বলা হয়, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, তিনি বিধাতা নিয়ে।"কথাটা ১৬আনা সঠিক।
কিন্তু সারাজীবনের সঙ্গী বেছে নেওয়ার আগে অনেক কিছু দেখার পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল উভয়ের বয়সের পার্থক্য কতটা তা দেখা হয়।
ছেলে এবং মেয়ের বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিৎ তা নিয়ে প্রায়শই বিভ্রান্তি থাকে, তাই আজ আমরা আপনাদের বলবো বিয়ের সময় পুরুষ ও মহিলার বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিৎ।
স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক সবচেয়ে অটুট। কিন্তু তাদের সম্পর্ক তখনই স্থায়ী হতে পারে যখন তারা একে অপরকে ভালভাবে বোঝে এবং তাদের মধ্যে একটি পারস্পরিক অংশীদারিত্ব থাকে।
এই অংশীদারিত্ব তখনই সম্ভব যখন উভয়ের মধ্যে বয়সের কোন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকে না। সাধারণত যদি স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বয়সের মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধান থাকে তবে খুব বেশি পার্থক্য হয় না, বা মতবিরোধ হয় না। কিন্তু একই পার্থক্য যখন ১০ থেকে ১২ বছর হয় তখন তা অনেক পার্থক্য হয়ে যায়।
আমরা সবাই জানি যে প্রতিটি বয়সের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকে। উভয় অংশীদারের পক্ষে একে অপরের চ্যালেঞ্জ বোঝা কঠিন। বেশি বয়সী সঙ্গীর সাথে মতবিরোধ বাড়বে বৈ কমবে না, যা সম্পর্কের ফাটল ডেকে আনতে পারে। ঝগড়া, অশান্তি বাড়তে পারে।
এছাড়া নানান সমস্যার মধ্যে, অল্প বয়সী স্ত্রীকে গুরুত্ব না দেওয়া, সহবাসের সময় পুড়ো চাহিদা মেটাতে অক্ষমতা বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। যাতে সম্পর্কে ফাটাল ধরা পড়বে খুব শীঘ্রই।
তাই একই বয়সে বিয়ে করা উচিৎ। নানান দৃষ্টিভঙ্গি তে বিচার করে দেখলে একই বয়স বা বয়সের বেশি ফারাক নেই এমন মানুষকে বিয়ে করা দরকার।
No comments:
Post a Comment