ডেড বাট সিনড্রোম অ্যামনেসিয়া নামেও পরিচিত। এটি কেবল আমাদের মস্তিষ্কই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা নয়, বাটগুলিও অ্যামনেসিয়াতে ভুগতে পারে৷ আসলে, এটি একটি মেডিকেল অবস্থা যা ডেড বাট সিনড্রোম বা গ্লুটিয়াল অ্যামনেসিয়া নামে পরিচিত৷ নাম থেকে বোঝা যায়, এটি মূলত গ্লুটের সাথে সম্পর্কিত।
গ্লুটিয়াল অ্যামনেসিয়ার মূল কারণ হল দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা এবং একটি আসিন জীবনধারা বজায় রাখা, যার ফলে গ্লুটিয়াল পেশীগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে৷
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করেন৷ আপনি যদি কম্পিউটারের সামনে বসে থাকেন৷ একটি বিরতি নেওয়া, বা দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো, আপনি ডেড বাট সিন্ড্রোম হওয়ার ঝুঁকিতে থাকতে পারেন।
এই সমস্যার সময়, ব্যক্তির গ্লুটিয়াস মিডিয়াস বা নিতম্বের হাড় ফুলে যায় এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এটি ঘটে কারণ আমরা যখন দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকি তখন রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এটি শুধুমাত্র নিতম্বের অসাড়তা এবং তাদের মধ্যে ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি করে না। বরং আরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়, যেমন এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসও হতে পারে।
যদি আপনার নিতম্বের ফ্লেক্সরগুলি যথেষ্ট প্রসারিত না হয় তবে এটি মৃত বাট সিনড্রোমের দিকে পরিচালিত করতে পারে। যারা ভুলভাবে দৌড়ায় তারাও এই সিনড্রোমে ভুগতে পারে। এছাড়াও, যারা মোটা বা ভিটামিন ডি, বা ভিটামিন বি ১২ এর অভাব রয়েছে, অ্যালকোহল পান করে তাদেরও হতে পারে ।
লক্ষণ: ডেড বাট সিনড্রোমের প্রাথমিক লক্ষণ হল পেলভিক এবং পিঠের নিচের দিকে ব্যথা। এই অবস্থা পরিচালনার সর্বোত্তম উপায় হল নিয়মিত বসা থেকে বিরতি নেওয়া এবং হালকা প্রসারিত বা হাঁটা। ভালো পুষ্টিও এটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment