উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চল তীব্র শীতের সম্মুখীন হয়। কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপও রয়েছে। শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে নানা ধরনের ঝামেলাও আসে।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় শিশু ও বৃদ্ধদের। পারদ নামলেই শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুব জরুরী হয়ে পড়ে। শিশুদের শরীরে চর্বি যতটা বেড়ে যায় ততটা বড়দের মধ্যে হয় না।
এ কারণে শিশুদের শরীর ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে না। শিশুরাও বড়দের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি তাপ হারায়। শিশুদের অনেক স্তরে পোশাক পরতে হবে।
এইচটি-তে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, শিশুদের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচাতে সবার আগে পুরো শরীর ঢেকে রাখা দরকার।
শীতকালে, শিশুকে অবশ্যই একটি টুপি, মোজা এবং গ্লাভস পরতে হবে। তবে মনে রাখবেন যে শিশুকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করার জন্য তাকে অতিরিক্ত পোশাক পরবেন না। এতে শিশু অস্বস্তি বোধ করবে।
দিনের বেলায় শিশুদের সূর্যালোকে উন্মুক্ত করা ভাল তবে নবজাতক শিশুদের খুব ভোরে এবং সন্ধ্যায় রোদে নেবেন না।
সম্ভব হলে শীতের সময় শিশুদের রাতে বাইরে নিয়ে যাবেন না। যদি যেতেই হয়, শিশুকে ভালোভাবে ঢেকে দিন। শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় সর্বদা আপনার নিজের শরীরের সাথে লেগে থাকুন।
শীতের মৌসুমে ঘরে শিশু থাকলে ঘরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রাখতে হবে। এর সাথে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত হতে হবে। ঘরে আলোরও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শীতকালে শিশুদের নিয়মিত ম্যাসাজ করাতে হবে। যদিও আমাদের দেশে কয়েক শতাব্দী ধরে শিশুদের মালিশ করা হয়, তবে শহরগুলিতে এটি খুব কমই দেখা যায়। শীতকালে, শিশুদের সবসময় গরম ম্যাসেজ দেওয়া উচিৎ।
মালিশের জন্য সর্ষের তেল, অলিভ অয়েল এবং বাদাম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের পর এবং ঘুমনোর আগে অন্তত দুবার ম্যাসাজ করুন।
নবজাতক শিশুদের জন্য মায়ের দুধ সবচেয়ে ভালো খাবার। এটি ঠান্ডা থেকেও রক্ষা করে। এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই শীত মৌসুমে মাকে বেশি করে গরম স্যুপ, স্যালাড, সবুজ শাকসব্জি, বাজরা, ভুট্টা খাওয়া উচিৎ।
এই সমস্ত টিপস ছাড়াও, শিশুদের চারপাশে স্বাস্থ্যবিধি যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে শিশুকে যেকোনও মূল্যে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হয়।
No comments:
Post a Comment