আজকাল হিন্দু পঞ্চং এর দশম মাস ঘর মাস চলছে পৌষ ও সৌর মাসের মতে। ধর্ম গ্রন্থ অনুসারে, এই দুই মাসের মধ্যে সকালে সূর্যদেবকে অর্ঘ্যকে দেওয়া বিশেষ গুরুত্ব। এটি করে আমরা সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত শুভ ফল পাই।
সূর্যোদয়ের দিকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন
আবহাওয়ার কারণে সকালে সূর্যদেবকে দেখা না গেলে যে দিকে সূর্যদেব উদিত হন, সেই দিকেই সূর্যদেবের ধ্যান করে অর্ঘ্য নিবেদন করা যায়। সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য একটি তামার পাত্র ব্যবহার করুন এবং জলে লাল ফুল এবং সামান্য কুমকুম দিন। এতে সূর্য সম্পর্কিত শুভ ফল পাওয়া যায় এবং ঝামেলা দূর হয়।
সূর্যদেব গ্রহের রাজা এবং পাঁচ দেবতার একজন
সূর্যকে নয়টি গ্রহের রাজা বলে মনে করা হয়। শাস্ত্রে পঞ্চদেবের কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি শুভ কাজে তার পূজা করা হয়। এই পঞ্চদেবদের মধ্যে রয়েছে শিব, গণেশ, বিষ্ণু, দেবী দুর্গা এবং সূর্যদেব। সূর্য পূজা স্বাস্থ্য উপকারের পাশাপাশি ধর্মীয় উপকারও দেয়।
সূর্য পূজার উপকারিতা
যদি কোনও ব্যক্তির রাশিতে সূর্য সংক্রান্ত ত্রুটি থাকে তবে সূর্যের উপাসনা করলে কুণ্ডলীর দোষগুলি দূর করা যায়। এই গ্রহটিকেও জ্ঞানের কারক বলে মনে করা হয়। সূর্যকে নিয়মিত অর্ঘ্য নিবেদন করলে মন শান্ত থাকে এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়, যা জ্ঞানের প্রসার ঘটায়। যেকোনো কিছু সহজে মনে পড়ে যায়। তাই শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা উচিৎ। আমাদের শরীর সূর্যের রশ্মি থেকে ভিটামিন ডি পায়। প্রতিদিন সকালে অর্ঘ্য নিবেদনের সময় সূর্যের আলোতে দাঁড়াতে হয়, যা ভিটামিনের পাশাপাশি আমাদের ত্বকের উপকার করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
No comments:
Post a Comment