নিয়মিত ব্যায়াম করলে পা মজবুত থাকবে। আপনার যদি আরও সমস্যা থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন ।
আপনি যখন অনেক হাঁটাহাঁটি করেন তখন কি পায়ে খিঁচুনি, বা অসাড়তা অনুভব করেন? যদি হ্যাঁ, তাহলে উপেক্ষা করবেন না। এটি দুর্বল পায়ের লক্ষণ হতে পারে।
পা দুর্বল হলে একটু হাঁটলে বা পায়ে দাঁড়ালে অল্প সময়ের মধ্যেই সমস্যা শুরু হবে। পেশীতে ব্যথা, ক্র্যাম্প ইত্যাদিও পায়ের দুর্বলতার লক্ষণ। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
পায়ে দুর্বলতার কারণ : পায়ের পেশীর ক্র্যাম্প হওয়ার কারণ এবং তাদের প্রতিকার জানার আগে, পায়ের দুর্বলতা কী তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ের দুর্বলতার সাধারণ এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলির প্রথম লক্ষণগুলি হল ক্লান্তি, অসাড়তা, ঝাঁকুনি, পেশীতে ক্র্যাম্প, ফুলে যাওয়া।
দুর্বল পায়ের অন্যান্য কারণ:
গাঁটে ব্যথা
নার্ভের ক্ষতি
ডায়াবেটিস
পুষ্টির ঘাটতি
অতিরিক্ত হাঁটা
জল শূন্যতা
অনুশীলনের অভাব
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পিঠে ব্যাথা
দুর্বল রক্ত সঞ্চালন
পায়ের দুর্বলতা দূর করার উপায়: নিয়মিত ব্যায়াম: পা মজবুত রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই জরুরী।গত কয়েক বছর ধরে করোনাভাইরাসের কারণে আমরা খুব একটা বাইরে যেতে পারছি না।
যদি বাড়িতে নিয়মিত ব্যায়াম করা হয়, তাহলে পায়ের দুর্বলতা সহজেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
নিজেকে হাইড্রেট রাখা : নিজেকে ফিট রাখতে শরীরে জল থাকা খুবই জরুরী। শরীরে জলের অভাবে খুব তাড়াতাড়ি পেশিতে ক্র্যাম্পের সমস্যা দেখা দেয়।
ম্যাসাজ তেল: তেল গরম করে তা দিয়ে পায়ে মালিশ করলে পায়ে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয়। পায়ের ফোলা এবং ব্যথা সহজেই ম্যাসাজ করে কমানো যায়।
ভিটামিন ডি : গবেষকদের মতে, হাড় মজবুত করতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন ডিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর অভাবে পায়ের হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
সকালের রোদে কিছুক্ষণ বসে থাকলে, কমলালেবু, দুধ বা এ ধরনের সিরিয়ালে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এগুলো পায়ের সমস্যা অনেকাংশে দূর করতে পারে।
আপেল সিডার ভিনেগার : ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি এর মতো অনেক পুষ্টি আপেলে পাওয়া যায়।
এক গ্লাস হাল্কা গরম জলে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে পায়ের পেশীগুলো খুব শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।
No comments:
Post a Comment