পোশাকের বদলে যাওয়া ফ্যাশনের মতো আমাদের চুলও ফ্যাশন থেকে বাদ পড়েনি। কখনও কোঁকড়া চুলের সময়কাল, কখনও সোজা চুল আবার কখনও প্রাকৃতিক চুলের। এর সাথে, আমরা নিজের উপর বিভিন্ন ধরণের চুলের স্টাইল করার চেষ্টা করি যাতে আমাদের চেহারা আরও সুন্দর হয়। কারণ চুলের স্টাইল আপনার চেহারাকে পুরোপুরি বদলে দিতে পারে। বিশেষ করে একটি বিশেষ পার্টি-ফাংশনের জন্য, আমরা অবশ্যই নতুন বা ট্রেন্ডি হেয়ারস্টাইল চেষ্টা করি। কারণ আপনার সৌন্দর্য বাড়াতে যতটা মেকআপ দরকার, ততটা চুলের স্টাইল।
তো চলুন জেনে নিই হেয়ারস্টাইল করার সময় কোন টিপসগুলো মাথায় রাখতে হবে-
১. এমন নয় যে আপনার বন্ধুর সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে এমন হেয়ারস্টাইল অবলম্বন করলে আপনার সৌন্দর্যও বাড়বে, বরং সেই চুলের স্টাইল আপনার লুক নষ্ট করতে পারে। অতএব, কখনই অন্যের অনুলিপি করে আপনার চুলের স্টাইল বেছে নেবেন না, আপনার মুখের কাটের সাথে মানানসই যেমন আপনার মুখের টেক্সচার এবং আপনার ব্যক্তিত্বকে উন্নত করে সেই হেয়ারস্টাইল গ্রহণ করুন।
২. আপনি যদি কোনও বিশেষ পার্টি-ফাংশনের জন্য পার্লার থেকে মেকআপ করাতে থাকেন তবে মনে রাখবেন যে নিজের জন্য চুলের ডো বেছে নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়। কারণ একজন বিউটিশিয়ানের কাছে আপনার সাজসজ্জা, মেকআপ এবং চুলের স্টাইল করার জন্য মাত্র 2-3 ঘন্টা সময় থাকে। এইরকম পরিস্থিতিতে, আরও জটিল চুলের ডো পেতে আপনাকে সাজতে আরও সময় নিতে পারে এবং আপনার ফাংশনে যেতে দেরি হতে পারে।
৩. চুলের স্টাইল তৈরি করার সময়, এটি আপনার পোশাকে ভাল দেখায় সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুটোই যদি মিল না হয় তাহলে আপনার চুলের ডু এবং সাজ দুটোই নষ্ট হয়ে যাবে। শুধুমাত্র একে অপরের পরিপূরক চেহারা চয়ন করুন।
৪. আপনি যখনই হেয়ার ডো করছেন, শুধুমাত্র হেয়ারস্টাইল নয়, চুলের বিভাজনের দিকেও মনোযোগ দিন। কারণ চুল লম্বা বা ছোট রাখবেন সেটা আপনার পছন্দ কারণ প্রতিটি চুলেরই নিজস্ব আকর্ষণ রয়েছে। তবে চুলের স্টাইল এবং চুল কাটার মতো, চুলের বিভাজনও আপনার মুখের আকার অনুসারে নির্বাচন করা উচিত। কারণ এতে চেহারা ভালো দেখাতে পারে আবার চেহারা খারাপও হতে পারে।
No comments:
Post a Comment