হিন্দু পুরাণে, ভগবান শঙ্করকে যোগী এবং তপস্বী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তার আবাস হিমালয়ের কৈলাস মানসরোবরে বলা হয়েছে। এই স্থানটিকে হিন্দু ধর্মে সবচেয়ে পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং এটি হিন্দুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। এই চমৎকার জায়গাটি রহস্যে ভরা। হিন্দু পুরাণে, শিবপুরাণ, স্কন্দ পুরাণ, মৎস্য পুরাণে পৃথক অধ্যায় আকারে এই স্থানের মহিমার প্রশংসা করা হয়েছে। কৈলাস পর্বতের সাথে অনেক ধরণের রহস্য জড়িত, যা ভগবান শিবের ব্যক্তিগত আবাস বলে বিবেচিত হয়। যা নিয়ে আজও অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী গবেষণায় নিয়োজিত। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কৈলাস পর্বত সম্পর্কিত কিছু রহস্যের কথা।
কৈলাস পর্বত আজ পর্যন্ত অজেয়
কৈলাস পর্বতের উচ্চতা ৬৬০০ মিটারের বেশি, যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের থেকে প্রায় ২২০০ মিটার কম। এর পরেও ৭ হাজারের বেশি বার এভারেস্টে আরোহণ করা হলেও এখনও কেউ কৈলাস পর্বতে উঠতে পারেননি। আজও তা অজেয়।
১. কৈলাস পর্বতের চূড়ায় দুটি হ্রদ রয়েছে, প্রথম মানসরোবর হ্রদ যা বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত বিশুদ্ধ জলের বৃহত্তম হ্রদ। এর আকার সূর্যের মতো এবং দ্বিতীয় দানব হ্রদ যা বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত বৃহত্তম লবণাক্ত জলের হ্রদ এবং এর আকার চাঁদের মতো। এই দুটি হ্রদ এখানে কীভাবে তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও গবেষণা করছেন। এই কারণে কৈলাস পর্বতকে আশ্চর্যজনক এবং রহস্যময় বলা হয়।
২. আমাদের পৃথিবীর একপাশে অন্যদিকে দক্ষিণ মেরু উত্তর মেরু। এবং এই দুটি খুঁটির মধ্যে হিমালয় এবং কৈলাশ পর্বতের কেন্দ্র। বিজ্ঞানীরা এটিও প্রত্যয়িত করেছেন যে এটি পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু।
৩. বিজ্ঞানীদের মতে এটি বিজ্ঞানের ভাষায় অক্ষ মুন্ডি নামে একটি কেন্দ্রবিন্দু। এর অর্থ বিশ্বের নাভি বা স্বর্গীয় মেরু এবং ভৌগলিক মেরুটির কেন্দ্র।
৪. বলা হয় যে কৈলাশ বা লেক মনসারোভারের কাছে চলমান লোকেরা এখানে ক্রমাগত একটি শব্দ শুনতে পাচ্ছে যেন কোনও বিমান চারপাশে উড়ছে। তবে মনোযোগ সহকারে শোনার ক্ষেত্রে, এই ভয়েসটি ডামরু বা ওমের মতো শোনা যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই শব্দটিতে বরফ গলে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment