গর্ভবতী মহিলাদের আয়োডিনের ঘাটতি ভ্রূণের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ যত্ন নিন, আয়োডিনের ঘাটতি যেন না হয়।
শিশুদের জন্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট আয়োডিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে ধীর করে দিতে পারে। এর অনেক উপসর্গ যেমন শুষ্ক ত্বক, চুল পড়া, কথাবার্তা ভালো করে না বলতে পারা ইত্যাদি।
সিভিল সার্জন ডাঃ অবধেশ কুমার বলেন, যে কোনও উপায়ে শরীরে যে আয়োডিন পাওয়া যায় তার বেশির ভাগই প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়। তাই প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে আয়োডিন গ্রহণ করা জরুরী।
গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকলে তাদের ভ্রূণের বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। যার কারণে কম ওজনের বা মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে।
শিশুদের জন্য আয়োডিন কেন প্রয়োজনীয়: সিভিল সার্জন ডাঃ অবধেশ কুমার বলেন যে আয়োডিন বাড়ন্ত শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে এবং থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন যা শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। সফল অপারেশনের জন্য আয়োডিন অপরিহার্য। এটির সামান্য পরিমাণ আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়।
আয়োডিনের প্রধান উৎস কি: সিভিল সার্জন বলেন, আয়োডিন একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা মূলত মাটি ও জলে পাওয়া যায়। আয়োডিনের ঘাটতি পূরণের জন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।
তিনি বলেন, পুরনো ও ভেজা লবণ আয়োডিন দূর করতে পারে। অতএব, ১২ মাসের বেশি পুরানো এবং ভিজে গেছে এমন আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করবেন না। খাদ্যশস্য, ডাল, মাছ, মাংস এবং ডিমের মতো খাবারেও অল্প পরিমাণে আয়োডিন থাকে, যা শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।
আয়োডিনের অভাব কীভাবে মেটানো সম্ভব : সিভিল সার্জন বলেন, আয়োডিনের ঘাটতি ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়োডিন সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।
গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদেরও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়োডিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিৎ। তবে যারা থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য আয়োডিন সাপ্লিমেন্টেশনের প্রয়োজন বেশি।
No comments:
Post a Comment