করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বিগ্ন। রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই সংখ্যা ছাড়িয়েছে। দিল্লী বা মহারাষ্ট্রের তুলনায় বাংলা ওমিক্রনে অনেক কম প্রভাবিত। বুধবার রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। নতুন করে ৫ জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত প্রথম শিশুটিও সুস্থ হয়ে উঠেছে।
রাজ্য প্রশাসনের মতে, RT-PCR পরীক্ষা পজিটিভ আসার পরে ১০৬ টি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য কল্যাণীতে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের বিদেশে যাওয়ার কোনও ইতিহাস নেই। একজন বিদেশ থেকে ফিরেছেন। জানা গেছে যে ওমিক্রন আক্রান্ত চারজনের মধ্যে দুজন কলকাতার, একজন দমদমের এবং একজন হাওড়ার।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগের কারণ কলকাতা। কারণ, বিদেশ থেকে অনেকেই কলকাতায় ফিরে আসেন। ফলে জরুরি অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিষিদ্ধ করা হতে পারে। শহরটি একটি মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করার কথাও ভাবছে।
মঙ্গলবার দিল্লীতে একটি হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, যা ওমিক্রন আক্রমণের শীর্ষে রয়েছে। কোভিডের উপর অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেদিকেই এগোচ্ছেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিমধ্যেই ওমিক্রন বন্ধ করতে যাত্রীদের ফেরার জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিদেশ থেকে ফেরার পর সবাইকে ২২ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও রাজ্যকে এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
ফেরত আসা যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা উপলব্ধ ছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে কোনও বিধিনিষেধ মানা হয়নি। তবে আজকের নির্দেশনার পর এমনটি আর হবে না।
রাজ্যের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিমানবন্দরে করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর ফেরত আসা যাত্রীদের প্রথম দফায় আট দিন বাড়িতে থাকতে হবে। এই সময়ে, সংশ্লিষ্ট পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিকে দৈনিক ফেরত যাত্রীদের উপর কড়া নজর রাখতে হবে। আট দিন পর ফিরে আসা যাত্রীদের আবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ছাড় নেই। আগামী ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে।
আর যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। ওমিক্রন সংক্রমিত কিনা তা নির্ধারণ করতে জিনোম পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাতে হবে।
No comments:
Post a Comment