অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষিত ও যোগ্য করে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা এমন সময়ে আঘাত হানে যখন নিরলস পরিশ্রম ও ত্যাগের পরও পড়ালেখায় মন লাগে না সন্তানের। যে কাজগুলোর জন্য তাকে নিষেধ করা হয়েছে সেসব কাজে শিশু বেশি সময় ব্যয় করে। শিশুদের আচরণে আকস্মিক পরিবর্তনগুলিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিৎ। কারণ অনেক সময় বাস্তু ত্রুটির কারণেও এমনটা হয়-
কীভাবে বাস্তু দোষ খুঁজে পাবেন?
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে দুই ধরনের শক্তি থাকে। যখন ঘরে পজিটিভ এনার্জি অর্থাৎ পজিটিভ এনার্জি হতে থাকে এবং নেগেটিভ এনার্জি অর্থাৎ নেগেটিভ এনার্জি বাড়তে থাকে, তখন বাড়ির বাস্তু প্রভাবিত হতে থাকে। এটি সহজেই সনাক্ত করা যায়, শুধু এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিতে হবে। এই জিনিসগুলি যদি ঘরে দেখা যায় তবে বাস্তু দোষ দূর করার চেষ্টা করা উচিৎ-
ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ না থাকা এবং শুধু সেই কাজগুলো করা যার জন্য তাদের নিষেধ করা হয়েছে।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ত্রুটি।
বাড়ির কিছু সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ঘরে অর্থের অভাব, ঋণ বৃদ্ধি।
আয়ের উৎস হ্রাস।
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাড়ির পোষা প্রাণীটি অদ্ভুত আচরণ করে।
বাড়ির বড়দের সম্মানের অভাব।
ঘরের নেতিবাচক শক্তি সহজেই দূর করা যায়। এজন্য শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিতে হবে এবং এই কাজগুলো করতে হবে-
ঘরের আবর্জনা সংগ্রহ করবেন না।
নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিন।
রাতে ঘুমানোর আগে মিথ্যা বাসন ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা পূজা ও আরতি করুন।
সন্ধ্যায় দেবী লক্ষ্মীর সামনে ঘির প্রদীপ জ্বালান।
কর্পূর জ্বালিয়ে দিন।
সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে একটি প্রদীপ জ্বালান।
সপ্তাহে অন্তত দুবার এক মপ লবণ লাগান।
শিশুদের ঘরে গণেশের ছবি রাখুন।
বুধবার গণেশ জির বিশেষ পূজা করুন।
No comments:
Post a Comment