যদি একজন মহিলার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা থাকে, তাহলে অনাগত শিশুর অনেক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যাগুলি গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরেও দেখা যায়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরেই পরিবার পরিকল্পনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বেশী বয়সে গর্ভধারণ যেমন ৩৫ বছর পার হওয়ার পর অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই বয়সে প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়া অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়। গর্ভাবস্থায় কিছু মহিলা তাদের ডায়েট মেনে চলেন, তারা মোটেও স্বাস্থ্যের যত্ন নেন না।
এমন অবস্থায় তাদের শরীরে আয়রন, রক্তের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলার শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক বেশি থাকে।ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও এই সমস্ত কারণে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার বিভাগে পড়তে পারেন।
হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি কাদের বেশি:
মোটা হলে।
শরীরে রক্তের ঘাটতি হলে।
অনেকবার গর্ভপাত হয়েছে এমন মহিলার।
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, জন্ডিস ইত্যাদি শারীরিক রোগে ভুগছেন।
হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সিতে ডায়েট করবেন: শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। কম প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে গর্ভাবস্থা হ্রাস পেতে পারে।
একইভাবে, ডায়েটে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি অ্যামোনিয়ার কারণ হতে পারে।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায় কী পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে সে সম্পর্কে আগেই চিকিৎসকের কাছ থেকে তথ্য নিন। আপনার যদি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা থাকে, তাহলে খাদ্যতালিকায় ডাল, বিশেষ করে মসুর, ডিম, আখরোট, সয়াবিন, ছোলা অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।
শস্য অবশ্যই খাওয়া উচিৎ, কারণ এতে ভিটামিন বি, ফাইবার, খনিজ ইত্যাদির মতো অনেক পুষ্টি রয়েছে। এগুলি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শক্তি জোগায়। উচ্চ গর্ভাবস্থায়, জাঙ্ক ফুড, সাদা রুটির মতো পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। এর পরিবর্তে ওটস, বাদামী চাল, জোয়ার, বাজরা, গম, ভুট্টা ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলো একটি ভাল উৎস। ফাইবার, যাতে l কোষ্ঠকাঠিন্য, হেমোরয়েডের মতো সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেটেড রাখুন। প্রচুর পরিমাণে জল , জুস, নারকেলের জল পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হবে। শরীরে শক্তি সঞ্চালন হবে। গর্ভাবস্থায় মূত্রনালীর সংক্রমণ হবেনা।
এছাড়াও খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। তাজা ফল, সবুজ শাকসব্জি অন্তর্ভুক্ত করুন। দুধ, দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, পনির খান। এতে হাড় যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনি শিশুর হাড়েরও সঠিক বিকাশ হবে।
No comments:
Post a Comment