জীবনে ভুলেও এমন কাজ করবেন না, তাহলে দেবী লক্ষ্মী বিরক্ত হবেন

 

দেবুথানি গয়রাসের দিনে তুলসী বিবাহ হয়। এই দিনে শালিগ্রামের সঙ্গে তুলসীজির বিয়ে হয়েছিল। তাই এই দিনে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে তুলসীজির বিয়ে দেন।স্কন্দপুরাণ অনুসারে, নপুংসকরা কখনই সেই বাড়িতে প্রবেশ করে না যেখানে একটি তুলসী গাছ থাকে এবং এটি পূজা করা হয়। হিন্দু সংস্কৃতি অনুসারে তুলসী গাছ রাখলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। কিন্তু তুলসী পুজোর দিনে ভুল করেও এই ৫টি কাজ করবেন না অর্থাৎ দেবত্থান গয়সার, না হলে সারা বছর পস্তাতে হতে পারে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক এই দিনে কী করা উচিৎ নয়... 

তুলসি প্রধানত তিন প্রকার- প্রথম কৃষ্ণ তুলসি, দ্বিতীয় সাদা তুলসি এবং তৃতীয় রাম তুলসি। এসবের মধ্যে কৃষ্ণ তুলসীকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। একই সময়ে, তুলসী সম্পর্কে ধর্মীয় কাহিনীতে বলা হয়েছে যে, দেবতা ও অসুরদের দ্বারা সমুদ্র মন্থন করার সময় পৃথিবীতে পতিত অমৃত থেকে তুলসীর উৎপত্তি হয়েছিল। তাই এটি অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। তাই হিন্দুধর্মে তুলসিকে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় এবং তুলসিকে পূজা করা হয়।

তাই তুলসীর সামনে প্রদীপ জ্বালানো হয়।

সন্ধ্যায় তুলসী গাছের কাছে প্রদীপ জ্বালানো শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে প্রতিদিন তুলসী গাছে একটি প্রদীপ রাখলে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে এবং তুলসীর পূজা সুখ ও মঙ্গলের প্রতীক বলে মনে করা হয়।

একাদশীতে তুলসী পাতা ছিঁড়বেন না

সূর্যাস্তের পর তুলসী পাতা ছেঁড়া উচিৎ নয়। এর পাশাপাশি চন্দ্রগ্রহণ, একাদশী ও রবিবারে তুলসী পাতা ছিঁড়ে ফেলাও নিষিদ্ধ। তাই এই দিনগুলিতে পাতা তুলবেন না। অন্যথায় মা লক্ষ্মী আপনার উপর ক্রুদ্ধ হতে পারেন।

তুলসীকে ধন পুত্র দান বলে মনে করা হয়

ভোরবেলা তুলসী দর্শন করলে দেড় গ্রাম সোনা দান করার ফল পাওয়া যায়। ঘরে লাগানো তুলসি মানুষের জন্য উপকারী, সম্পদের দাতা, পুত্র, গুণী এবং ভক্তিদাতা।

তুলসি রোগ থেকে মুক্তি দেয়

প্রতিদিন খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি আপনাকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করেছে। রক্ত পরিষ্কার থাকে, চুল পড়া কমে যায়।